শিল্পনীতিতে ডিসিসিআই’র ২৫ সুপারিশ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:২৫
ঢাকা: খসড়া জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১-এ অন্তর্ভূক্তির লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিবেচনার জন্য ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পক্ষ হতে ২৫টি সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শিল্প সচিব কে এম আলী আজম এর কাছে ডিসিসিআই’র সুপারিশমালা হস্তান্তর করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিসিসিআই।
ডিসিসিআই বিদ্যমান নীতিমালায় ‘এসএমই’ খাতের সংজ্ঞা সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে এবং ‘মধ্যম’ ক্যাটাগরিকে কুটির, অতিক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র হতে পৃথক করার আহ্বান নিয়েছে। পাশাপাশি ‘মধ্যম’কে বৃহৎ শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাব করছে। ডিসিসিআই মনে করে, এর ফলে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র খাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক ও নীতি সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজতর হবে।
এছাড়াও এসএমই খাতের ক্লাস্টারের উন্নয়ন, পণ্যের উৎপাদান বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল এসএমই ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ গঠনের সুপারিশ করে।
ডিসিসিআই বলছে, “আমরা অবগতি আছি যে, স্বল্পন্নোত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটা মুক্ত সুবিধা হারাবে, যা কিনা আমাদের রফতানিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এ অবস্থা মোকাবেলায় ঢাকা চেম্বার মনে করে, রফতানির সম্ভাবনাময় দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ)’ অথবা ‘অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)’ স্বাক্ষরের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে, এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।”
ঢাকা চেম্বার মনে করে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এস্ইজেড) আমদানি বিকল্প এসএমই শিল্প স্থাপনের প্লট বরাদ্দে বিশেষ বিবেচনা এবং আর্থিক প্রণোদনা সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা এসএমই উদ্যোক্তদের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতকল্পে চেম্বার ‘এসএমই ব্যাংক’ স্থাপনেরও প্রস্তাব করেছে।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে একটি ‘ক্রাইসিস মিটিগেশন ফান্ড’ তৈরি সুপারিশ করেছে। এছাড়াও প্রস্তাবিত শিল্পনীতিটি যেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বেপজা, বিডা, বেজা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা সমূহের সঙ্গে সমন্বয় থাকার বিষয়ে আরও বেশি মাত্রায় গুরুত্ব দেওয়ারর আহ্বান জানাচ্ছে ডিসিসিআই।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও