ঢাকা: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উদযাপন এবং বাংলাদেশের আসন্ন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সামনে রেখে শেয়ারআমেরিকা (ShareAmerica) ওয়েবসাইটের বাংলা সংস্করণ চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য তথ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা মিশন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বাংলা সংস্করণের শেয়ারআমেরিকা সাইটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা মিশন থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, শেয়ারআমেরিকার বাংলা ভাষার নতুন এই ওয়েবসাইট বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সম্মান নিদর্শনের প্রতীক। বাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে বসবাসকারী বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের কাছে নির্ভুল ও সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম হিসেবেও এই ওয়েবসাইটটি কাজ করবে।
শেয়ারআমেরিকা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রকাশ করে থাকে। আমেরিকার জনগণ, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও বিশ্বব্যাপী আমেরিকার বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত তথ্য এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এখানে প্রকাশিত তথ্য সবার জন্য উম্মুক্ত এবং যে কেউ বিনামূল্যে এসব তথ্য পেতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা মিশন বলছে, বাংলা ভাষার নতুন এই ওয়েবসাইটটি শেয়ারআমেরিকার ইংরেজি ভাষার ওয়েবসাইটের প্রায় অনুরূপ। এতে ধর্মীয় স্বাধীনতা, আইনের শাসন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, মানবিক মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রতিবেদন, আকর্ষণীয় গল্প ও ছবি প্রকাশ করা হবে। নতুন এই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশি ও আমেরিকান জনগণের মধ্যেকার সম্পর্ক আরেও গভীর ও জোরদার করার পাশাপাশি দুই দেশের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও মজবুত করবে।
বাংলা ভাষাভাষী মানুষ যেন নিয়মিতভাবে নতুন নতুন বিষয় ও তথ্য পেতে পারেন, সে লক্ষ্যে শেয়ারআমেরিকা বাংলা ওয়েবসাইটটি নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করা হবে বলেও জানানো হয়।
ওয়েবসাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, আমরা আশা করি নতুন ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশি ও আমেরিকানদের মধ্যে বোঝাপড়া আরেও বাড়াবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীর বিশেষ এই সময়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনকালে আমি আশা করি আপনারা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাসের কথা স্মরণ করবেন এবং ১৯৫২ ও ১৯৭১ উভয় বিজয় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত অর্জিত সবকিছুর জন্য গর্বিত হবেন। একইসঙ্গে আগামী পঞ্চাশ বছর ও তারও পরে বাংলাদেশের সাফল্য ও আরও অনেক অর্জন বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের সর্বোচ্চ আকাঙ্ক্ষা অর্জনে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পাশে থেকে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ অব্যাহত রাখতে প্রত্যাশী— বলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূত।