দেশে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন হয়েছে ২৮ লাখের বেশি
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:২৩
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভ্যাকসিনের জন্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছেন ২৮ লাখ ৫ হাজার ১৩৫ জন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশে জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের একাদশ দিনে দুই লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩২ হাজার ৪১২ জন। এখন পর্যন্ত দেশে সর্বমোট ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন। ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরবর্তী সময়ে ৫৩৭ জনের মাঝে হালকা জ্বর, গায়ে ব্যথা এমন লক্ষণ দেখা গেলেও এখনও পর্যন্ত সবাই সুস্থ আছেন।
এখন পর্যন্ত দেশে সর্বমোট ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৩ জন। ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরবর্তী সময়ে ৫১০ জনের মাঝে হালকা জ্বর, গায়ে ব্যথা এমন লক্ষণ দেখা গেলেও এখনও পর্যন্ত সবাই সুস্থ আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেকোনো ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মানুষের ভ্যাকসিন নেওয়ার স্থানে লাল হতে পারে, সামান্য জ্বর আসতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার স্থানসহ শরীরে ব্যথা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কারোর মাঝেই এর চেয়ে গুরুতর কিছু দেখা যায়নি। তাই আমরা বলতে পারি, সবাই সুস্থ আছে।’
উল্লেখ্য, জনসাধারণ পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রথম দিন ৩১ হাজার ১৬০ জন ও দ্বিতীয় দিন ৪৬ হাজার ৫০৯ জন ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। তৃতীয় দিনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন এক লাখ এক হাজার ৮২ জন। চতুর্থ দিনে দেশে এক লাখ ৫৮ হাজার ৪৫১ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে যথাক্রমে দুই লাখ চার হাজার ৫৪০ জন ও এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৭১ জন। সপ্তম দিনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৩ জন। অষ্টম দিনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন দুই লাখ ২৬ হাজার ৬৭৮ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। নবম দিনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন দুই লাখ ২৬ হাজার ৯০২ জন। দশম দিনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন দুই লাখ ২৬ হাজার ৭৫৫ জন।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথম দিন ২১ জনের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও দ্বিতীয় দিন দেখা দেয় ৭১ জনের মধ্যে। তৃতীয় দিন ৯৪ জন এবং চতুর্থ দিন দেখা দিয়েছে ৭০ জনের শরীরে। পঞ্চম দিনে দেশে ৭৬ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ষষ্ঠ দিনে ৩১ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সপ্তম দিনে ১৮ ও অষ্টম দিনে ২১ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অষ্টম দিনে ২৯ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নবম দিনে ৩৫ ও দশম দিনে ২০ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। একাদশ দিনে ২৭ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে সবাই সুস্থ আছে এখন পর্যন্ত।