Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফার্নেস অয়েল আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা


১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:৫৮

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : বিদ্যুৎ উৎপাদনে শতভাগ রফতানিমুখী শিল্পগুলোর জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় তরল জ্বালানি ফার্নেস অয়েল আমদানি সুবিধা দিতে যাচ্ছে সরকার। শুল্কমুক্ত সুবিধায় ফার্নেস অয়েল আমদানি করে ক্যাপটিভ পাওয়ার উৎপাদনে ব্যয় কত কমবে তা নিয়ে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে জ্বালানি বিভাগ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ফার্নেস অয়েল আমদানির সুযোগ দিতে চিঠি দেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি তপন চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, ক্যাপটিভ পাওয়ার হচ্ছে শিল্প কারখানায় ব্যবহ্নত বড় জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বোঝায়। এসব জেনারেটর মুলত গ্যাস ও জ্বালানি তেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট সরকারের এক আদেশে ক্যাপটিভ পাওয়ারে নতুন করে গ্যাস সংযোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি গ্যাসের বদলে জ্বালানি তেল ব্যবহারের জন্য শিল্প মালিকদের অনুরোধ করা হয়।

জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন নিজেরা জ্বালানি তেল আমদানি করছে। এতে করে তাদের উৎপাদন খরচই কমে এসেছে।

তিনি বলেন, সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় কমানো। এখন শিল্পে ক্যাপটিভ পাওয়ার উৎপাদনে ফানের্স অয়েল আমদানি সুবিধা দিলে উৎপাদন ব্যয় কমে আসবে বলে টেক্সটাইল মিল মালিকরা দাবি করছেন। আমরা এখন ব্যয় কমার বিষয়টি যাচাই বাছাই করছি।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি তপন চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, আমরা কুইক রেন্টাল ও আইপিপির (ইন্ডিপেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার) মত শুল্কমুক্ত সুবিধা ফার্নেস অয়েল আমদানির সুবিধা চেয়েছি। এ সুবিধা পেলে ক্যাপটিভ পাওয়ার উৎপাদনে খরচ অনেকাংশে কমে আসবে।

বিটিএমএ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, গ্যাস সংকটের কারণে সরকার পর্যায়ক্রমে গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধি করেছে। বিগত দুই বছরে এই মুল্যবৃদ্ধি প্রায় ২২২ শতাংশের বেশি। একইসঙ্গে গ্যাস সংকটের কারণে শিল্প মালিকরা উৎপাদন চালু রাখার স্বার্থে জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আসছে। এই উৎপাদন আরও নিরবচ্ছিন করতে আইপিপি ও রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টগুলোকে যেভাবে জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হয়েছে, একইভাবে ক্যাপটিভ পাওয়ার উৎপাদকদের দিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বর্তমানের চাইতে অর্ধেকের মত কমে আসবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে যেসব শিল্প মালিকরা নিজেরা ক্যাপটিভ পাওয়ার বা বিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন তারা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরশেন (বিপিসি) থেকে প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েল ৪২ টাকায় কিনছেন। বর্তমান মূল্যে ফার্নেস অয়েল কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১১ টাকায় দাঁড়ায়।

বর্তমানে আর্ন্তজাতিক বাজারে প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের মুল্য ৩২০ মার্কিন ডলার। সরাসরি আমদানি করে ক্যাপটিভ পাওয়ার উৎপাদন করলে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের মুল্য দাঁড়াবে ৬ টাকা ৫০ পয়সা। এতে করে ইউনিট প্রতি সাশ্রয় হবে সাড়ে চার টাকা।

বর্তমানে ফার্নেস অয়েল আমদানির শুল্ক ৩১ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এইচএ/একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর