Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কাদের মির্জার কথায় মনে হয় তিনি আ.লীগ নন, বিএনপি-জামায়াত’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৩৮

নোয়াখালী: আওয়ামী লীগ ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য, মিথ্যা, অশোভন আচরণ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সদর উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ এবং জেলার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল ওয়াদদু পিন্টু এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে বলা হয়, ‘বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা প্রায় দুই মাস থেকে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে অশোভনীয় বক্তব্য দিয়ে আসছেন। অথচ পৌরসভা নির্বাচনের পূর্ব থেকে প্রচার-প্রচারণার সময় যে সব বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন, তাতে মনে হয় তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে নয়, নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামায়াত জোট সমর্থিত রাজনৈতিক দলের ভোটে।’

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে আবদুল ওয়াদদু পিন্টু বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়ার পূর্বে তিনি কখনও আওয়ামী লীগ বা দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি। কিন্তু দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আবদুল কাদের মির্জার নাম ঘোষণার পর থেকে উন্মাদের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ জাতীয় নেতা ও জাতীয় সংসদের বিভিন্ন এমপি, মন্ত্রীসহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, ওবায়দুল কাদের ও একরামুল করিম চৌধুরীর সহধর্মিনী এবং এমপিপুত্র সাবাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরোধী দলীয় মুখপাত্রের ন্যায় বিবৃতি দিয়ে আসছেন যা অত্যন্ত দুঃখ ও বেদনাদায়ক।’

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জেলার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে ওবায়দুল কাদের ও একরামুল করিম চৌধুরীর অবদান উল্লেখযোগ্য। এতে প্রতীয়মান হয় জেলার সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজে কাদের মির্জার মনে প্রতিহিংসার সৃষ্টি হয়েছে। টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য সম্পর্কে যেসব মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করেছেন, তার সত্যতা প্রমাণে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি সেগুলোর সত্যতা প্রমাণের আহ্বান জানান।

এছাড়া, সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগি সংগঠনের কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে দলের গঠনতন্ত্রের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করেছেন আবদুল কাদের মির্জা। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

কাদের মির্জার এসব অশোভনীয় এবং সংগঠন বিরোধী অসদাচরণের শাস্তি দাবি করে তিন বলেন, ‘তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ন্যায় সচিবালয়ের বিভিন্ন সচিব, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করেই চলছেন। তার ক্ষমতার দাম্ভিকতায় অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তকে নাজেহাল হতে হয়েছে।’ এমন আচরণের জন্য দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়। পাশাপাশি সাংগঠনিক পর্যায় থেকে এ মিথ্যা অপপ্রচারমূলক বক্তব্য, অশোভনীয় ও অসদাচরণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান এই নেতা।

এসময় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম সামছুদ্দিন জেহান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান নাছের, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট, যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/এমও

আওয়ামী লীগ কাদের মির্জা নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর