চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে একুশে ফেব্রুয়ারির সকালে জনসমাগমের মাধ্যমে প্রভাতফেরি নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। তবে সংগঠন থেকে পাঁচজন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বোচ্চ দু’জন একসঙ্গে শহিদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং মাস্ক ছাড়া কোনো অবস্থায় শহিদ মিনারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
একুশে ফেব্রুয়ারির সকালে প্রতিবছর লাখো মানুষের সমাগম ঘটে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। একুশে উপলক্ষে নগরজুড়ে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মো. আব্দুর রউফ সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে আমরা এবার মহান শহিদ দিবসের আয়োজনে কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে শহিদ মিনারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সংগঠন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন একসঙ্গে এবং ব্যক্তিগতভাবে সর্বোচ্চ দুইজন একসঙ্গে শহিদ মিনারে প্রবেশ করতে পারবেন।’
স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, শহিদ মিনারে দায়িত্বরত স্কাউট, গার্লস গাইড, রোভার এবং স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক থাকবে। শহিদ মিনারে যারা আসবেন, প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া যেকোনো ধরনের ব্যাগ বা সন্দেহজনক বস্তু নিয়ে কাউকে শহিদ মিনারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এদিকে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে যানবাহন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্দেশনাও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সিএমপি। এতে বলা হয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা থেকে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত নগরীর লালদিঘী সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে জহুর হকার্স মার্কেট, আমতল, তিনপুলের মাথা, সিনেমা প্যালেস, বোস ব্রাদার্স ও বৌদ্ধমন্দির এলাকা হয়ে শহিদ মিনারের দিকে যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। তবে ভিআইপিদের বহনকারী গাড়ির আওতামুক্ত থাকবে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিনেমা প্যালেস মোড় থেকে পায়ে হেঁটে শহিদ মিনারে প্রবেশ করতে হবে এবং শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পায়ে হেঁটে রাইফেল ক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে বের হতে হবে।