ধানি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রির অভিযোগ কৃষকদের
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:১৪
ঢাকা: ‘বাংলাদেশ সরকার ৫২৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নদী পুনঃখনন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সেই সুযোগে একটি প্রভাবশালী মহল সরকারের এই উদ্দেশ্যকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। নদী পুনঃখননের নামে কৃষকের ধানি জমি জোরপূর্বক দখল এবং স্থানীয় ইট ভাটায় মাটি বিক্রি করে কৃষকদের নিঃস্ব করে দেওয়ার পরিকল্পনায় নেমেছে।’
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত এলাকাবাসীর প্রতিনিধি হয়ে আসা রাবেয়া বসরী অভিযোগ করে বলেন, ‘নদী পুনঃখনন প্রকল্পে নরসিংদী জেলার পলাশ, শিবপুর থানাধীন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শত শত কৃষক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। পথে বসার উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধুই তাই নয় প্রতি মুহূর্তে জীবন হারানোর শঙ্কায় আজ আমরা ঘুরছি।’
তিনি আরও বলেন, পলাশ ও শিবপুর থানাধীন মৌজার আলিনগর, চরসিন্দুর, ব্রজেরকান্দী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী পুনঃখনন প্রকল্প চলমান রয়েছে। যেখানে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকার কয়েক লাখ মানুষের কৃষি এবং ধানি জমি রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদীর সীমানার মধ্যে জমি না পড়লেও সেখান মাটি খননের কাজ চলমান রয়েছে। জোরপূর্বক ঠিকাদার কোম্পানি নদীর নকশা বহির্ভূত জমি থেকে মাটি তুলে নিচ্ছে।’
কৃষকদের অভিযোগ, খনন কাজে নিয়োজিত মেসার্স ফিউচার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী মো. খালেদ হোসেন, স্থানীয় ভূমিদস্যু ও এলাকার প্রভাবশালী মহলের মাধ্যমে নদীর সীমানার বাইরে গিয়ে স্থানীয় কৃষকদের জমির মাটি রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। ফলে সেখানে এখন আর ফসল হওয়ার সুযোগ নেই। স্থানীয়রা বাঁধা দিতে গেলে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যারাই প্রতিবাদ করতে গিয়েছে তাদেরই নির্যাতন করেছে ভুমিদস্যু খালেদ।
এসব অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসন, স্থানীয় থানা, উপজেলা পরিষদের কর্যালয়ে দফায় দফায় যোগাযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়। পাশাপাশি জমির যথাযথ ক্ষতিপূরণ জমির মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় কলেজের শিক্ষার্থী এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসএইচ/এমও