পূর্বাচলে শহিদ মিনার চত্বরে ইকরিমিকরির আয়োজনে বর্ণ উৎসব
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:০৩
শিশুতোষ প্রকাশনী ইকরিমিকরি নিজেদের কার্যক্রম বই প্রকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বর্ণমালা নিয়েও নানা পরিকল্পনা করে আসছিল। সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে এবার পূর্বাচলের জয় বাংলা চত্বরে ‘বর্ণ উৎসব’ আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে নবনির্মিত শহিদ মিনারেই হবে এই উৎসব। আর একুশের প্রথম প্রহরে সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে শহিদ মিনারটি।
এম এস শিটে তৈরি এই শহিদ মিনারটি উচ্চতা ৩১ ফুট, প্রস্থ ২১ ফুট। ইকরিমিকরি’র সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত প্রিয় বর্ণমালাকে অনেক আদরে-যতনে লালন করা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অন্যতম উপায়। বিশেষ করে শিশুরা যেন মাতৃভাষাকে আরও ভালোভাবে জেনে একে হৃদয়ে ধারণ করতে পারে, সেটি মাথায় রেখেই এই শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।
শিশুতোষ এই সংস্থাটি আরও জানায়, প্রতিবছর সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে নিয়মিতভাবে বর্ণ উৎসব আয়োজিত হবে। এটি হবে সার্বজনীন। এছাড়াও চলবে সারাবছর ধরে বর্ণমালাকে ঘিরে গবেষণাসহ নানা ধরনের চর্চা ও কার্যক্রম। সেসব ফেব্রুয়ারি মাসে উপস্থাপন করা হবে। যারা বাংলা ভাষা ও বর্ণমালা নিয়ে কাজ করতে চান, এ উদ্যোগের পাশে থাকতে চান, তাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইকরিমিকরি।
২১ ফেব্রুয়ারিতে ইকরিমিকরি’র কর্মসূচি
ইকরিমিকরি জানিয়েছে, শিশু ও বড়দের অংশগ্রহণে রাস্তাজুড়ে থাকবে বর্ণ-আলপনা। আর শহিদ মিনারটি উদ্বোধন করবেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক।
এখানেই শেষ নয়, আহমদ রফিকসহ ৫০ বরেণ্য ও তরুণ শিল্পী এঁকেছেন ৫০টি বর্ণছবি। তার উন্মুক্ত প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে জয় বাংলা চত্বরে। পরবর্তী সময়ে বর্ণছবির আরও প্রদর্শনী হবে জাদুঘর অথবা শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারিতে।
পূর্বাচলের জয় বাংলা চত্বরে সারাদিন বর্ণছবি আঁকবে তরুণ ও শিশু শিল্পীরা। কাটআউটের মাধ্যমে বর্ণকে ত্রিমাত্রিকভাবে উপস্থাপন করা হবে।
এছাড়াও থাকছে বর্ণমালায় হাতেখড়ি, ইকরিমিকরি ‘বই টং’ উদ্বোধন (ভ্রাম্যমাণ বই প্রদর্শন, বইপড়া ও বই বিক্রির গাড়ি) ও শিশুদের জন্য বর্ণমালার খেলা, বর্ণমালা চেনা, বর্ণফুল আঁকা ইত্যাদি আয়োজন।
সারাবাংলা/এজেড/টিআর
ইকরিমিকরি একুশে ফেব্রুয়ারি জয় বাংলা চত্বর পূর্বাচল শহিদ মিনার