Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘করোনার নতুন ভারতীয় ধরন আরও দ্রুত সংক্রমণক্ষম’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:৪৬

ভারতের মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরন দ্রুত সংক্রমণক্ষম এবং বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের (এআইআইএমএস) প্রধান রনদীপ গুলেরিয়া। খবর এনডিটিভি।

নতুন এই ধরন করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া ব্যক্তিদের শরীরেও পুনঃসংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে দাবি করেছেন গুলেরিয়া।

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ভারতজুড়ে ২৪০ জনের দেহে ভাইরাসের এই নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে মহারাষ্ট্রে ফের সংক্রমণ বাড়ার যে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তার পেছনে নতুন এ ধরনটি দায়ী বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডা. শশাঙ্ক জোশি।

মহারাষ্ট্র ছাড়াও কেরালা, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড় ও পাঞ্জাবেও ফের আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

ভারতের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের হার্ড ইমিউনিটি একটি ‘মিথ’ হয়ে থাকতে পারে, কারণ সুরক্ষিত হওয়ার জন্য ভারতের মোট জনসংখ্যার অন্তত ৮০ শতাংশের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে হবে বলে জানিয়েছেন গুলেরিয়া। ভাইরাসের নতুন এই ধরনটিকে বিবেচনায় নিলে তা আরও কঠিন হয়ে উঠবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

জনসংখ্যার একটি নির্দিষ্ট অংশকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তোলার ওপর নির্ভর করছে ভারত সরকারের ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরিকল্পনা। প্রথম পর্বে দেশটির সরকার তিন কোটি স্বাস্থ্য কর্মী ও অন্যান্য ফ্রন্টলাইন কর্মীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। এরপর ৫০ বছর বা তার ঊর্ধ্বের সবাইকে এবং গুরুতর অসুস্থদের ভ্যাকসিন দেওয়া হলে সংখ্যাটি ২৭ কোটিতে গিয়ে ঠেকবে।

বিজ্ঞাপন

হার্ড ইমিউনিটি অর্জন কেন সম্ভব না, এর ব্যাখ্যায় গুলেরিয়া বলেন, মিউটেশন বা ভাইরাসটির ধরনগুলোর ‘প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়ানোর কৌশল’ আছে। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করা ব্যক্তির জন্যও এগুলো হুমকি হয়ে উঠতে পারে এবং পুনঃসংক্রমণ ঘটাতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে তিনি ‘কোভিড-যথোচিত ব্যবহার’ মেনে চলার ওপর জোর দেন। বলেন, “ভারতের পরীক্ষা, সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখার মতো আগ্রাসী পদক্ষেপগুলোতে ফিরে যাওয়া দরকার।”

করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে ভারতের ভ্যাকসিনগুলো কার্যকর হবে কিনা সেই প্রসঙ্গে গুলেরিয়া বলেন, ভ্যাকসিনগুলো কার্যকর হবে, তবে কার্যকারিতা কিছুটা কম হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ভ্যাকসিন নিয়েছেন এমন লোকজন হয়তো করোনায় আক্রান্ত হওয়া এড়াতে পারবে না কিন্তু তাদের সংক্রমণ মৃদু হবে।

ভাইরাসের নতুন এই ধরনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভ্যাকসিনগুলো আরও উন্নত করতে হবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে গুলেরিয়া বলেন, নিয়মিত নজরদারি থেকে পাওয়া তথ্য তা জানার প্রধান উপায়। আসছে মাসগুলোতে ‍ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন ভ্যাকসিন অবশ্যই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন গুলেরিয়া।

এ পর্যন্ত এক কোটি সাত লাখেরও বেশি ভ্যাকসিন স্বাস্থ্য কর্মী এবং কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নিয়োজিত ফ্রন্টলাইন কর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে।

সারাবাংলা/একেএম

করোনার নতুন ধরন দ্রুত সংক্রমণক্ষম ভারত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর