শহিদ মিনারের মর্যাদা রক্ষার দাবি বোয়াফের
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:৩৯
ঢাকা: মায়ের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জাতিসত্তা, স্বকীয়তা আর সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার আন্দোলনের যারা আত্মত্যাগ করেছেন, সেসকল বীর শহিদের স্মৃতিস্তম্ব শহিদ মিনারের মর্যাদা রক্ষার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের পর সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এ সময় সংগঠনের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, ‘শুধু ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখকে ঘিরেই শহিদ মিনারের মতো পবিত্র জায়গাটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলে হবে না, এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু আমরা দেখে আসছি, একুশ ফেব্রুয়ারির দিনটি ছাড়া বছরের অন্যান্য দিনগুলো সরকারের কোনো পরিকল্পনা কিংবা কর্মসূচি একদিকে যেমন প্রতীয়মান নয়, অন্যদিকে অধিকাংশ দর্শনার্থী পায়ে জুতা নিয়েই শহিদ মিনারের মূল বেদিতে উঠে পড়ে— যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
বোয়াফ সভাপতি বলেন, ‘রক্ষণাবেক্ষণহীন কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেহাল অবস্থা দেখেই অনুমান করা যায়, দেশের ইউনিয়ন, উপজেলা কিংবা জেলায় জেলায় নির্মাণ করা শহিদ মিনারের পবিত্রতা কিংবা ভাষা শহিদের মর্যাদা কতটুকু রক্ষা করা হচ্ছে— এটি পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে।’
কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছরে দাঁড়িয়ে একদিকে যেমন শহিদদের সুনির্দিষ্ট কোনো তালিকা করতে পারিনি, অন্যদিকে শহিদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস অঙ্কুর থেকেই বাঙালি জাতির ভেতর শ্রদ্ধার্ঘভাবে তুলে ধরতে পারিনি। আর তাই, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের চত্বরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারেও একপ্রকার আনমনাভাবেই সকল শ্রেণিপেশার মানুষ জুতা পায়ে বেদিতে বিচরণ করে নিজেদের অজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকেন।’
তিনি বলেন, ‘শহর থেকে গ্রামে মায়ের ভাষা বাংলাকে পৌঁছে দিতে হবে। আর গবেষণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমেই ভাষা শহিদের আত্মত্যাগের মূল্যায়ন করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।’
বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের নেতৃত্বে পুষ্পার্পণে অংশ নেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম কুমার ও সদস্য নাঈমুর রহমান ইমন।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম