সর্বাত্মক ধর্মঘটে স্থবির মিয়ানমার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:৫২
সেনা শাসনের প্রতিবাদে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ডাকা সর্বাত্মক ধর্মঘটে মিয়ানমারের জনজীবন স্থবির হয়য়ে পড়েছে। সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের চরম হুমকি সত্ত্বেও হাজার হাজার গণতন্ত্রপন্থি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। খবর রয়টার্স।
রয়টার্স জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় এমআরটিভি’তে সোমবার বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্কতা জানানো হয়েছিল। এতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা সাধারণ লোকজনকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। বিশেষ করে তরুণদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর ফলে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
২২ বছর বয়সী টেট টেট হ্লাইং বলেছেন, তিনি ভয়ে আছেন। তাই আজকের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আগে তিনি প্রার্থনা করে ঘর থেকে বের হয়েছেন। তবে তিনি সাহস হারাননি।
‘আমরা এই জান্তাদের চাই না। আমরা গণতন্ত্র চাই। আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই ঠিক করতে চাই। আমার মা আমাকে এখানে আসা আটকাতে পারেননি। তিনি শুধু বলেছেন, সাবধানে থেকো,’ যোগ করেন ওই তরুণ গণতন্ত্রপন্থি।
রোববার মান্ডালা শহরে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায়ও আন্দোলনে ভাটা পড়েনি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
মিয়ানমারের স্থানীয় দোকানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চেইন শপগুলো সোমবার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ফুড পান্ডাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সেবাও বন্ধ রয়েছে। তবে তবে কিছু কিছু ট্যাক্সিসেবা চলছে।
ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের দূতাবাসে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বর্হিবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দূতাবাসগুলোর সামনে জড়ো হচ্ছেন।
এদিকে, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও গণতন্ত্রপন্থি নেতা অং সান সু চির অবিলম্বে মুক্তি চেয়ে জান্তা প্রশাসনের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কয়েকটি দেশ মন্তব্য করায় এর নিন্দা জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর এক বার্তায় বলেছে, সরকার ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে।
সারাবাংলা/একেএম