সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:৩০
ঢাকা: দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক যন্ত্রপাতি সংযোজনসহ সকল অচল যন্ত্রপাতি মেরামত করে সচল করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন)।
রিট দায়েরের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন) বলেন, ‘রিট দায়েরের আগে এ বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেছি।’
তিনি আরও বলেন, `খুব দ্রুতই হাইকোর্টের যেকোনো একটি বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।`
রিটে উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, একই সঙ্গে উক্ত বিষয়ে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হবে না, সে মর্মেও রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোর পরিচালকে রিটে বিবাদী হয়েছেন।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৫(ক) ও ১৮(১) অনুচ্ছেদে স্বাস্থ্যসেবা ও জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও মূলত অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যসেবা মৌলিক অধিকার, যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব একমাত্র রাষ্ট্রের। কিন্তু বিভিন্ন প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানা যায় যে, বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক যন্ত্রপাতি নেই এবং বিদ্যমান যন্ত্রপাতির মধ্যে অধিকাংশই অচল এবং এগুলো মেরামত করে সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্থ বরাদ্দ হলেও তা যথাযথ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে না। এতে একদিকে দেশের সাধারণ মানুষ সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে সরকারও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
প্রসঙ্গত, রিট আবেদনের আগে এ বিষয়ে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। এবং নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রিট দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জে আর খান (রবিন)।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমআই