ঢাকা: পুরান ঢাকার হাজী বালু রোডে কারখানা। বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে তৈরি হয় কসমেটিকস। কিন্তু সেগুলোর মোড়ক পন্ডস, ভিট, তিব্বত, বেটনোভেট ক্রিম এবং ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীর মতো নামি-দামি ব্র্যান্ডের। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবেই বাজারে নকল কসমেটিকস পণ্য বাজারজাত করে আসছিল মের্সাস নিধি কসমেটিকস কোম্পানি। খোঁজ পেয়ে সেই কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছয় লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরান ঢাকার হাজী বালু রোডের ৩১/৬/২ নম্বর ভবনের ওই কারখানায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। অভিযানে বিপুল পরিমাণ নকল কসমেটিকস, কসমেটিকস তৈরির উপকরণ ও বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির নামে তৈরি মোড়ক জব্দ করা হয়। অভিযানে সার্বিক সহায়তা করেছে বিএসটিআই।
অভিযানে কারখানায় উৎপাদন কাজে জড়িত থাকা মো. আলী নুর হোসেন (২৫) এবং মো. জাহিদুল ইসলামকে (২২) গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের দু’জনকে ৩ লাখ করে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে দু’মাস করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের।
র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু অভিযানের বিষয়ে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ড যেমন— পন্ডস, ভিট, তিব্বত, বেটনোভেট ক্রিম এবং ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীসহ অন্যান্য কসমেটিকস ও প্রসাধনী সামগ্রী বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছাড়াই উৎপাদন ও বাজারজাত করত তারা।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন নকল রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে এবং লেবেলবিহীন অনুমোদনহীন কেমিক্যাল ব্যবহার করে নকল কসমেটিকস তৈরি করত। শুধু তাই নয়, কারখানা চালানোর জন্য তাদের পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেই, বিএসটিআই এবং ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্সও নেই; যা দণ্ডনীয় অপরাধ। এমনকি তাদের উৎপাদিত এসব প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে ত্বকের ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি থাকে। তাই এসব অপরাধে জড়িত দু’জনকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।