Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মিয়ানমারে দমনপীড়ন বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:১৬

আন্তোনিও গুতেরেস, ফাইল ছবি

মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর দমনপীড়ন বন্ধ করে অভ্যুত্থানে বন্দি রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের (এইচআরসি) বার্ষিক বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি। খবর রয়টার্স।

গুতেরেস বলেন, তিনি মিয়ানমারে গণতন্ত্র পঙ্গু হতে দেখছেন, নিষ্ঠুর শক্তির ব্যবহার দেখছেন, যথেচ্ছ গ্রেফতার, দমন এসবের সবই দেখছেন। নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ হতে দেখছেন। সুশীল সমাজেরও ওপর হামলাও দেখছেন। কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই সংখ্যালঘুদের অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন, বিশেষ করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জাতিগত নির্মূলীকরণ। দিনকে দিন তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে অবিলম্বে দমন বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। সহিংসতার শেষ করতে হবে। মানবাধিকারের প্রতি এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনে জনগণের যে ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে তার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আধুনিক বিশ্বে সামরিক অভ্যুত্থানের কোনো স্থান নেই।

এদিকে, সোমবারও মিয়ানমারের রাস্তায় রাস্তায় হাজার হাজার গণতন্ত্রপন্থি জড়ো হয়ে সামরিক শাসনের অবসান এবং নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিসহ কারাবন্দি অন্যান্যদের মুক্তি দাবি করেন। এ দিনের বিক্ষোভকে ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে অন্যতম বৃহত্তম প্রতিবাদ বলে অভিহিত করেছে বিবিসি।

কর্মচারীরা সর্বাত্মক ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় দেশটির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় নেমে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন, সামরিক বাহিনীর এমন বিবৃতি সত্ত্বেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে সামিল হয়। রাজধানী নেইপিডোতে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। সেখানে একটি জলকামানবাহী ট্রাককে অবস্থান নিতেও দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

অভ্যুত্থানের পর থেকে গত তিন সপ্তাহ ধরে মিয়ানমার নিয়মিত সামরিক বাহিনী বিরোধী বিক্ষোভ দেখছে। এ পরিস্থিতিতে ক্ষমতাচ্যুত সরকারকে পুনর্বহাল করতে মিয়ানমারের জেনারেলদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা মিয়ানমারের জান্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, তারাও মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ ও অন্যান্য বিদেশি সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সারাবাংলা/একেএম

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর