মেগা প্রকল্প জনমনে স্বপ্ন জাগিয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:০৬
ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের চলমান সব মেগাপ্রকল্প মানুষের মনে স্বপ্ন জাগিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই ২০২০-জুন ২০২৫) দলিল অবহিতকরণ’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের চলমান মেগাপ্রকল্পগুলো কবে শেষ হবে, কবে আরেকটি স্পেন বসবে এবং উন্নয়নের সর্বশেষ পরিস্থিতি কী- এসব জানতে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়িতই বড় বড় প্রকল্পগুলোর পরিস্থিতি জানতে চায়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এখন থেকে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু এই পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত হয়েছে, সেহেতু আগামী পাঁচবছরের মধ্যে পরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে বেবি (শিশু) পরিকল্পনা বলে অবহিত করেন।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘এই অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় অনেকগুলো ছোট ছোট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পনার মাধ্যমে যেসব বেবির জন্ম হবে সেগুলো পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা পৃথিবীতে নিয়ে আসবেন। এই পরিকল্পনা মানুষের মঙ্গলের জন্য, বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বিশেষ অবদান রাখবে।’
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা ২০২০ অর্থবছরে ১১ হাজার ৩৬২ বিলিয়ন টাকা। তা বৃদ্ধি করে ২০২৫ অর্থবছরে ২১ হাজার ১৯ বিলিয়ন টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বর্তমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
লিখিত বক্তব্যে শামসুল আলম বলেন, ‘বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি পেলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং তা বাড়তি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। পুঁজিবাজারে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী হিসাব ও নিরীক্ষা পদ্ধতি হালনাগাদ করে বাজারে আস্থা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত কৌশল অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের টার্নওভার গত এক দশকের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকার মুদ্রাবাজারে সুদ হার হ্রাস, মানসম্পন্ন স্টকের তালিকাভুক্তকরণ এবং সক্রিয় নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এই পরিকল্পনা মেয়াদে একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর আত্ম-কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
ড. শামসুল আলম বলেন, ‘এটাকে এখন আর সংশোধনের সুযোগ নেই। এটি কিন্তু এখন স্বীকৃত দলিল। এটি বাস্তবায়নে এখন এগিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জয়নুল বারী, আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন আল রশিদ, মোছাৎ নাসিমা বেগম প্রমুখ।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম