Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সাংবাদিকদের ওপর চাপ সেলফ-সেন্সরশিপে বাধ্য করে’

সারাবাংলা ডেস্ক
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:৩২

ঢাকা: ‘সাংবাদিকদের ওপর চাপ রয়েছে। সেটা কখনো করপোরেট, কখনো বিজ্ঞাপন বা প্রভাবশালী মহলের কাছ থেকে। কিন্তু এর বাইরেও আরও এক ধরনের চাপ আছে, যেটা অনেক সময় সাংবাদিকদের সেলফ-সেন্সরশিপে বাধ্য করে।’

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত ‘বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যম: প্রবণতা ও করণীয়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহযোগিতায় গণমাধ্যম উন্নয়ন ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সমষ্টি’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিক, শিক্ষক, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের ৪০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্যই হলো সেখানে মতপ্রকাশের অধিকার থাকবে এবং স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশের অধিকারও সুনিশ্চিত থাকবে। কোনো মতামতে কারও ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে। তিনি সংক্ষুব্ধ হতে পারেন। কিন্তু কারও মনে আঘাত লাগবে বলেই সে সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে বা লিখতে পারবে না, তা আমাদের বা কোনো গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানই বলে না।

অনুষ্ঠানে ‘সমষ্টি’ পরিচালিত গবেষণার তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, সারাদেশের ১০৮টি ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পাঁচজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। পাশাপাশি ৮৮ জন সাংবাদিক আক্রমণের শিকার হন, ১৮ জন হুমকি পান, ১০ জন নানা ভাবে হয়রানির শিকার হন। এছাড়া সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ভাঙচুর করা হয়। প্রভাবশালী, স্বার্থন্বেষী মহল, রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী ইত্যাদি পক্ষ এ ধরনের হামলাসহ হয়রানিমূলক তৎপরতার সঙ্গে জড়িত। এসব বিষয়ে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজরসহ সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্য জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়ার সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমষ্টির পরিচালক ও চ্যানেল আই-এর সিনিয়র বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান।

গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন সমষ্টির কর্মসূচি পরিচালক মীর সাহিদুল আলম। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, অপরাজেয় বাংলার সম্পাদক মাহমুদ মেনন খান, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি শারমিন রিনভী, সিনিয়র সাংবাদিক শুচি সৈয়দ, মীর মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন হায়দার ও গোলাম শাহানী।

সারাবাংলা/এমআই/এসআই

সাংবাদিক


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর