রোহিঙ্গাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৫৯
মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যাতিক্রমী স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সহযোগিতায় ব্র্যাক ‘মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড সাইকো-সোস্যাল সাপোর্ট (এমএইচপিএসএস) সেন্টার’ শীর্ষক কেন্দ্রটি নির্মাণ ও এর যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
ব্র্যাক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং এলাকার ৬ নম্বর ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যাম্পটি উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ও ৬ নম্বর ক্যাম্পের ইনচার্জ সৈয়দ মাহবুবুল হক।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের হিউম্যানিট্যারিয়ান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক, একই সংস্থার এইচসিএমপি’র আওতাধীন হেড অব শেল্টার শাহ আলম, একই সংস্থার এইচসিএমপি’র অধীন চাইল্ড প্রোটেকশন কর্মসূচির টিম লিড রিফাত জাহান নাহরীন, ইউএনএইচসিআরের সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার রুবেল দাশ, একই সংস্থার অ্যাসিসট্যান্ট এমএই চপিএসএস অফিসার এ এন এম মাহমুদুল আলমসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের এইচসিএমপি’র অধীন এমএইচপিএসএস অফিস ইনচার্জ এইচ এম রাকিবুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, বাস্তবতা এই যে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তার উদ্দেশ্যে এই সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্য সঠিকভাবে যেন বাস্তবায়ন হয়, সেদিকে আমাদের বেশি দৃষ্টি দিতে হবে। তবে সেবাদানের পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় আনতে হবে। এজন্য স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করা জরুরি।
হাসিনা আখতার হক বলেন, ব্র্যাক বরাবরই নির্যাতনের শিকার মানুষের অধিকার ও উন্নয়নে কাজ করে আসছে। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এটি আমাদের একটি বড় উদ্যোগ। এই উদ্যোগ যেন সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়, এজন্য আমরা স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
এই কেন্দ্রের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে ফিরে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে একক মনোসামাজিক, দলগত ও বিশেষায়িত সেবা দেওয়া হবে। প্রতিদিন এই তিনটি ধাপে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৬০ জনকে এই সেবা দেওয়া হবে। কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফে এ ধরনের মোট ১০টি সেন্টারের মাধ্যমে এরই মধ্যে ২ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৩ জনকে এই সেবার আওতায় আনা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদার নিরিখে এই কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। প্রায় দুই মাসে নির্মাণ কার্যক্রম শেষে এটি আজ উদ্বোধন করা হলো।
সারাবাংলা/টিআর