Friday 04 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাঈদ খোকনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ৩ মার্চ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১২:২৬ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:২৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট ব্লক-২ দোকানের বৈধতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ধার্য করেন।

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু মামলাটির দায়ের করেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, দোকানের বৈধতা পেতে সাঈদ খোকন মেয়র থাকার সময় দোকান প্রতি ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন তারা। অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরও ওই সময় দোকানের বৈধতা পাননি তারা।

বিজ্ঞাপন

মামলার বাকি আসামিরা হলেন— ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর ব্লক-এ, বি, সি মূল বিল্ডিংয়ের মূল নকশাবহির্ভূত অংশ হিসাবে স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ওই ঘোষণার পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যোগাযোগ করেন। তখন আসামিরা তাদের টাকা জমা দিতে বলেন। আর যাদের নামে দোকান বরাদ্দ আছে তাদের ভুল বুঝিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর মূল নকশা বহির্ভূত এক্সটেনশন ব্লক-এ, বি, সি-তে দোকান না নিলে মূল মার্কেটের দোকান মালিকদের দোকানের বরাদ্দ বাতিল ও তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা এক্সটেনশন ব্লকে দোকান নিতে বাধ্য হন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, তৎকালীন মেয়রসহ অন্যন্যা আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে নিয়ে নেয়। এই মামলার বাদী কোটি কোটি টাকা লেনদেনে বাধা দেওয়ায় আসামিরা তার প্রাণহানির চেষ্টা করে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদী তাদের বিরুদ্ধে জিডি পর্যন্ত করতে সাহস পাইনি। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে কিন্তু কোনো ডক্যুমেন্ট পর্যন্ত দেয়নি। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিরও আবেদন করা হয়েছিল।

সারাবাংলা/এআই/এএম

টপ নিউজ ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট সাঈদ খোকন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর