জাতীয় প্রেস ক্লাবে আবুল মকসুদের জানাজা, শ্রদ্ধা নিবেদন
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:০৮ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:৩৩
ঢাকা: বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদের জানাজা জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান প্রেস ক্লাবের ইমাম।
জানাজায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মজিদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালীন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয় ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার আগে আলোচনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, ‘আবুল মসকুদ সাংবাদিকদের অভিভাবক ছিলেন। প্রেস ক্লাবের কোনো প্রয়োজনে তার সঙ্গে কথা বলে আমরা পরামর্শ নিতে পারতাম। তার মৃত্যুতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আবুল মকসুদ নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে তার গবেষণাকর্মী কলাম লিখতেন। যা থেকে আমরা অনেক দিক-নির্দেশনা পেতাম। তিনি সবার শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।’
জানাজার আগে আবুল মকসুদের ছেলে নাসিফ মাকসুদ বলেন, ‘আমার বাবা তার সামর্থ্য অনুযায়ী দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তার আত্মার মাগফিরাত যেন হয় আপনারা দোয়া করবেন। কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে মাফ করে দেবেন।’
জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে আবুল মকসুদের মরদেহ নেওয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে নাগরিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার আরেক দফা জানাজা হয়। এরপর বিকেলে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গত মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল আবুল মকসুদকে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া আবুল মকসুদ পরিচিত ছিলেন সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতির সমসাময়িক ঘটনাবলি সংবাদপত্রে কলাম লিখতেন। তার কলামের শিরোনাম ছিল বাঘা তেঁতুল ও সহজিয়া কড়চা।
সৈয়দ আবুল মকসুদের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে কবিতা: বিকেলবেলা, দারা শিকোহ ও অন্যান্য কবিতা; প্রবন্ধ: যুদ্ধ ও মানুষের মূর্খতা, বাঙালির সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন, ঢাকায় বুদ্ধদেব বসু প্রভৃতি; জীবনী: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও সাহিত্য, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, গোবিন্দচন্দ্র দাসের ঘর-গেরস্থালি ; ভ্রমণকাহিনি: জার্মানির জার্নাল, পারস্যের পত্রাবলি।
তিনি বাংলাদেশে গান্ধি-গবেষণার পথিকৃৎ। তার গান্ধিবিষয়ক গ্রন্থ: Gandhi, Nehru and Noakhali ও Gandhi Camp
চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিনি তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ঋষিজ পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
সারাবাংলা/একে