ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসা থেকে হাসান নামে ১২ বছর বয়সী এক শিশুর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে হাসানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ওয়ারী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওয়ারীর পদ্মনিধি লেনের ছয় তলায় খালা আয়সা ও খালু জামান ভুঁইয়ার বাসায় থাকত শিশু হাসান।
এসআই আরও জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে খবর পেয়ে ওয়ারীর ওই বাসায় গিয়ে তোষকের ওপর থেকে হাসানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাসার লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, হাসান গতকাল বিকেলে বাসায় একাই ছিল। কয়েকজন যুবক চুরি করার উদ্দেশে বাসায় ঢুকে। বাসায় হাসানকে একা পেয়ে হাসানকে গলা কেটে হত্যা করে বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে যায়।
এসআই জানায়, এই ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। তাদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে।
মৃত হাসানের খালু জামান ভুঁইয়া জানান, হাসানের ছোটবেলায় তার মা ফাতেমা আক্তার ও বাবা মঞ্জু আলাদা হয়ে যায়। হাসানরা দুই ভাই দুই বোন। বাবা মা আলাদা হওয়ার পর থেকে সবাই নানা-নানীর কাছে থাকতো। নানা-নানী মারা যাওয়ার পর পাঁচ মাস ধরে তাদের সঙ্গেই বাসায় থাকে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় হাসান বাসায় একা ছিল। তার খালা আয়শা মার্কেটে গিয়েছিল। খালাত ভাই আজিজুল ইসলাম সন্ধ্যায় বাসায় এসে বাইরে থেকে দরজায় তালা ঝুলতে দেখে বাইরে অপেক্ষা করতে থাকে। পরে আয়েশা বেগম মার্কেট থেকে এসে তালা ভেঙে ভিতরে গিয়ে হাসানকে গলা কাটা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়।
জামান জানান, বাসার ভিতরে সব ভাঙা ছিল। পরে দেখা যায় বাসা থেকে আনুমানিক নগদ ৮৫ হাজার টাকা ও আট থেকে নয় ভরি সোনা খোয়া গিয়েছে।