চীন-পাকিস্তান করিডোর ব্যবহারের প্রস্তাব পাক রাষ্ট্রদূতের
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:৫৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর ব্যবহার করে সমুদ্রপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানের হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী। অন্যদিকে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে করাচি বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের তাগিদ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম চেম্বারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে পাকিস্তানের হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক মাহবুবুল আলম।
বৈঠকে পাকিস্তানের হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্ভাবনাময় হলেও আশানরূপ নয় মন্তব্য করে বলেন, এক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে আরও বেশি সম্পর্কোন্নয়নের জন্য একটি কমন প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের এবং বাংলাদেশে পাকিস্তানি পণ্যের একক প্রদর্শনীর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলেন, প্রচলিত পণ্যের বাইরে নতুন নতুন পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে পাকিস্তানি কাঁচামাল ব্যবহার করে ফিনিশড প্রোডাক্ট তৈরির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।
হাই কমিশনার উভয় পক্ষ যাতে সমানভাবে উপকৃত হয় সেই লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ মধ্য এশিয়াসহ পাকিস্তান থেকে প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। এক্ষেত্রে চায়না-পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোর (সিপিইসি) ব্যবহার করে সমুদ্রপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য পরিচালনা করা হলে তা সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।
তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়, পর্যটন প্রসারে ট্যুর প্রোগ্রাম আয়োজন এবং সংশ্লিষ্ট ভিসা সহজীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, পাকিস্তানে গড় ট্যারিফ বাংলাদেশ থেকে কম হলেও উচ্চ শুল্কের কারণে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কোটা ও সংখ্যার সীমাবদ্ধতা, স্বাস্থ্য ও মানগত বাধ্যবাধকতা এবং পাকিস্তান সরকারি এজেন্সির একচ্ছত্রভাবে আমদানি অন্যতম বাধা।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের রফতানির তুলনায় আমদানি অনেক বেশি উল্লেখ করে চেম্বার সভাপতি শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূরীকরণ, রুলস অব অরিজিন সহজীকরণ এবং সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে করাচি বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক এস এম আবু তৈয়ব, অঞ্জন শেখর দাশ ও সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, বিএসআরএম’র চেয়ারম্যান আলী হুসেইন আকবর আলী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক হাবিব মহিউদ্দিন এবং পাকিস্তান দূতাবাসের কমার্শিয়াল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সুলেমান খান বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/আরডি/একেএম