কর প্রদানে মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে: সালমান এফ রহমান
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:২২
ঢাকা: দেশের জিডিপি’তে করের অবদান এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে কম উল্লেখ করে কর প্রদানে সবার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাজস্ব আহরণ অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। তবে বাংলাদেশের জিডিপিতে করের অবদান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে কম। তাই জিডিপিতে করের অবদান বাড়াতে সবাইকে কর প্রদানে আগ্রহী হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদ প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বছর প্রায় ৫৫ হাজার নাগরিককে কর জালের আওতায় নিয়ে এসেছে। কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিদ্যমান রাজস্ব কাঠামো যুগোপযোগীকরণ এবং ডিজিটাল ব্যবস্থার কার্যক্রম আরও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার ওপর জোরারোপ করেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের বিমানবন্দরে পরিণত করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো ও এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই বিমানবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যের নেতিবাচক প্রভাব, বাণিজ্য যুদ্ধ, ব্রেক্সিট, স্বল্পন্নোত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ এবং সর্বোপরি কোভিডের প্রভাবের কারণে দেশের বেসরকারি খাত বেশ প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা গ্রহণ করতে হলে বাংলাদেশকে ২৭টি শর্ত পূরণ করতে হবে। এমন বাস্তবতায় যথাসময়ে ইইউয়ের শর্ত পূরণের কার্যক্রম তদারকি এবং ইইউয়ের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় করতে একটি ‘ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি কমিটি’ প্রণয়নের প্রস্তাব করেন।
ডিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, দেশে ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় হ্রাস এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিডা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করেছে, যা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। তবে এ সেবার কার্যকর প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থায় দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বৈশ্বিক বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে গেছে এবং উল্লেখিত সময়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে তিনি সরকারের শিল্পনীতি, আমদানি-রফতানি নীতি, বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালাসহ সংশ্লিষ্ট সব নীতিমালার সমন্বয় খুবই জরুরি বলে মত প্রকাশ করেন।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, কোম্পানি আইনে একক ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনে মূলধনের সীমা ২৫ লাখ টাকা এবং বার্ষিক বিক্রয়ের পরিমাণ ১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা কিছুটা যৌক্তিকীকরণ করা প্রয়োজন।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর