ঢাকা-জলপাইগুড়ি রুটে ট্রেন চলবে ২৬ মার্চ থেকে
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:২২
ঢাকার সঙ্গে রেলপথে সরাসরি যুক্ত হতে যাচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি। আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই দুই শহরের মধ্যে চালু হচ্ছে বিরতিহীন যাত্রীবাহী ট্রেন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত থেকে এই রুটের ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের রেল কর্মকর্তাদের মধ্যে গত মঙ্গল ও বুধবার অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পাকশি রেলওয়ে বিভাগের ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম, ভারতের পক্ষে কাটিহার বিভাগের ম্যানেজার (ডিআরএম) রবীন্দ্র কুমার ভার্মা।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর, প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার এই যাত্রীবাহী ট্রেন নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার পথে রওনা দেবে। অন্যদিকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যাবে মঙ্গল ও শুক্রবার।
১০টি শীতাতপ কোচের এই ট্রেনটি চলবে ডিজেল ইঞ্জিনে। ঢাকা থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দূরত্বের জলপাইগুড়িতে পৌঁছাতে ট্রেনটির সময় লাগবে ৯ ঘণ্টা।
বৈঠক শেষে রবীন্দ্র কুমার ভার্মা বলেন, দুই দেশের মধ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশের বিষয়টি মাথায় রেখে এই রেল সেবা চালু হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও দেশটির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) থেকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত চলবে এই ট্রেন। ২৬ মার্চ দুপুর ২টায় জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে।
এর আগে, ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল ঢাকা ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মধ্যে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন হিসেবে যাত্রা শুরু করে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’। পরে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ নামে খুলনা ও কলকাতার মধ্যে ট্রেন যাত্রা শুরু করে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর। এছাড়া ভারতের হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি পর্যন্ত ট্রেন যোগাযোগ চালুর প্রক্রিয়া চলছে। এর আগেই দুই দেশের মধ্যেকার তৃতীয় যাত্রীবাহী ট্রেন যাত্রা শুরু করছে ঢাকা-জলপাইগুড়ি রুটে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এখনো নতুন রুটের এই ট্রেনটির কোনো নাম চূড়ান্ত হয়নি। যাত্রাপথের ভাড়াও নির্ধারণ করা হয়নি।
সারাবাংলা/টিআর