এক সপ্তাহের বেশি সময় বঙ্গোপসাগরে ভাসমান থাকার পর আন্দামান উপকূল থেকে ৮১ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জীবিত উদ্ধার করেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড। তাদের মধ্যে নৌকা থেকে আট শরণার্থীর মরদেহও মিলেছে। খবর রয়টার্স।
এখন পর্যন্ত ওই নৌকার এক আরোহী নিখোঁজ রয়েছেন। তবে, উদ্ধার হওয়া শরণার্থীরা কোস্ট গার্ড হেফাজত থেকে কোনোভাবেই ভারতের মূল ভূ-খণ্ডে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব সংবাদ মাধ্যমকে ওই উদ্ধার অভিযানের ব্যাপারে জানিয়েছেন।
এর আগে, ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখ বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ৯০ রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে একটি নৌকা নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে জানিয়েছিল জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার (ইউএনএইচআর)। তার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর শরণার্থীদের উদ্ধার হওয়ার খবর পাওয়া গেলো।
কিন্তু, ভারত ১৯৫১ সালের রেফিউজি কাউন্সিলে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র না হওয়ায় শরণার্থীদের আপাতত সমুদ্রসীমার ভেতরেই কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানে ত্রাণ এবং চিকিৎসাসেবা দিয়ে রাখ হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
অনুরাগ শ্রীবাস্তবের বরাতে ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সাগরে চার দিন চলার পর শরণার্থী বোঝাই নৌকাটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়, তাদের খাবার ও পানি ফুরিয়ে যায়। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে কারণেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধারের সময়ও অনেকে তীব্র ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
শরণার্থীর নিরাপদে ক্যাম্পে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সেনা অভিযানের মুখে পালিয়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের কক্সবাজারে অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেয়। প্রায় চার বছরের টাইমলাইনে বা তরফ থেকে কয়েকবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবে তা আলোর মুখ দেখেনি। এরই মধ্যে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কয়েকটি দলকে দুর্গম ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ।