সিরিয়ায় মার্কিন হামলা, ১৭ প্রাণহানি
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:২০
সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত বিদ্রোহী মিলিশিয়া গ্রুপের স্থাপনা লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) হামলা চালিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, মার্কিন বাহিনীর হামলায় ইরানপন্থি ১৭ মিলিশিয়া সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। খবর এএফপি।
ওই অঞ্চলে দুই সপ্তাহ ধরে মার্কিন সেনাদের ওপর রকেট হামলার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র এ অভিযান অনুমোদন দিয়েছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেওয়ার পর তার নির্দেশে এই প্রথম হামলার ঘটনা ঘটলো। তবে, সিরিয়ায় যে স্থানে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের হামলা নির্দিষ্ট করে সেই স্থানে চলেনি। তবে মার্কিন বাহিনী যেখানে হামলা চালিয়েছে সেখানে ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়ারা সক্রিয় রয়েছে।
এদিকে সিরিয়ায় আগে থেকেই মোতায়েত থাকা যৌথ বাহিনীর অংশীদার এবং মার্কিন মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন হামলা চালানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ হামলায় সিরিয়া সীমান্তে ইরান-সমর্থিত কাইতিব হিজবুল্লাহ, সায়েদ আল শুহাদাসহ কয়েকটি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর একাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন বাহিনীর হামলা প্রসঙ্গে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশনায় হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন ও যৌথ বাহিনীর ওপর সম্প্রতি যে রকেট হামলা হয়েছে, শুধুমাত্র তার জবাব দিতেই নয় বরং মার্কিন সেনাদের ওপর হুমকি মোকাবিলাও করতে বলেছেন তিনি।
কিরবি আরও বলেন, স্বেচ্ছায় তারা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চল ও ইরাকের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত করাই তাদের লক্ষ্য।
পেন্টাগনের ওই কর্মকর্তা বলেন, ভবিষ্যতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে দূর্বল করতে এবং বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক হামলা সম্পর্কে বার্তা পাঠাতেই এ হামলা চালানো হয়েছে।
সিরিয়ায় হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত বাইডেন প্রশাসনের একেবারে শীর্ষস্থান থেকে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সেনাবাহিনীর কোনো সুনির্দিষ্ট সুপারিশের ভিত্তিতে এ হামলা করা হয়নি।
অন্যদিকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন ও তেহরান। সাম্প্রতিক মার্কিন হামলার ঘটনা চলমান ভঙ্গুর সমঝোতা-প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে, সিরিয়ায় ইরবিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে চালানো রকেট হামলায় এক বেসামরিক ঠিকাদার, চার মার্কিন ঠিকাদার ও এক মার্কিন কর্মী আহত হন। কিন্তু, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ ইরবিলে ১৫ ফেব্রুয়ারির হামলার সঙ্গে দেশটির কোনো রকম সংশ্লিষ্টতার কথা নাকচ করে দিয়েছিলেন।
সারাবাংলা/একেএম
