পূর্বাচলে শহিদ মিনার বানালো ‘কেএসআরএম’
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:০৪
ভাষার মাসে রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহরের ১১ নম্বর সেক্টরে ইস্পাত প্রস্তুত শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের অর্থায়নে নির্মিত হলো শহিদ মিনার। জয় বাংলা চত্বরে নির্মিত এটি হলো পূর্বাচলের প্রথম শহীদ মিনার। শিশুতোষ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইকরিমিকরির উদ্যোগে রাজউকের অনুমোদনে এটি নির্মিত হয়।
শহিদ মিনারের ডিজাইন করেন শিল্পী মাহবুবুল হক। উদ্যোক্তাদের মতে, এই শহিদ মিনারকে ঘিরে পূর্বাচল নতুন শহরের গড়ে তোলা হবে একটি সাংস্কৃতিক বলয়। যা নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা এবং বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বারতা ছড়াবে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি জয় বাংলা চত্বরের চারপাশে শিল্পী, শিশু-কিশোর এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষের বর্ণমালা আর আলপনা আঁকার মধ্য দিয়ে এই শহিদ মিনার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন ভাষা সৈনিক আহমদ রফিক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক)।
স্টিল পাত দিয়ে নির্মিত এই শহিদ মিনারে রয়েছে চারটি স্তম্ভ। দু’টি স্তম্ভের অগ্রভাগ সংযুক্ত করা হবে অন্য দু’টির সঙ্গে। মিনারের বেদিতে করা হবে সুবিন্যস্ত ও নান্দনিক ফুলের বাগান। কিছু কাজ এখনও বাকি। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে এটি সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। একুশের প্রভাতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোক শহিদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
কেএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘২১ মানেই বাঙলা। ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস। আর একুশে ফেব্রুয়ারি হলো বাঙলা ও বাঙালির আবেগ। যা মিশে আছে প্রজন্মের পর প্রজন্মের রক্ত ধারায়। ভাষার মাসে কেএসআরএম জাতির ওই আবেগে মিশে থাকতে চায় শহীদ মিনার নির্মাণে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ইকরিমিকরির পাশে থেকে। আমরা চাই নতুন প্রজন্মের কাছে যেন আরও বেশি অর্থবহ ও তাৎপর্যময় হয় শহিদদের বীরত্বগাঁথা।’
সারাবাংলা/এমও