গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে শাশুড়ি আটক, স্বামী পলাতক
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:২১
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পরই স্বামী পালিয়ে গেছে। গৃহবধূর শাশুড়ি নুরজাহান বেগমকে আটক করেছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে।
দুই সন্তানের জননী মৃত গৃহবধূ নুরজাহান খাতুন (৪০) লোকনাথপুর গ্রামের মাঝপাড়ার জাহান আলীর স্ত্রী এবং দর্শনা পৌরসভার রামনগর গ্রামের মৃত আজিজুল হকের মেয়ে।
মৃত নুরজাহান খাতুনের মা রহিমন বেগম ও ভাই সুন্নত আলী জানান, জাহান আলী ও তার মা নুরজাহান তাকে মারধর করতেন। এর আগে একবার তাদের তালাক হয়েছিল। তবে সন্তানদের কথা ভেবে আবারও জাহান আলীর সঙ্গেই নুরজাহান বেগমের বিয়ে দেন স্থানীয়রা। শেষ পর্যন্ত শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনে নুরজাহান মারা গেলেন বলে অভিযোগ তাদের।
হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রিকাত আলী বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গৃহবধূ নুরজাহানকে। এরপর সেখানে ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার সারাশরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় ও চোখে নির্মমভাবে আঘাত করা হয়েছে। আজ (শনিবার) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, যৌতুকের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নুরজাহানকে কয়েক দফা মারধর করেন স্বামী জাহান আলী। এরপর তাকে বাড়িতে ফেলে রাখে। শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ নুরজাহান খাতুন মারা যান।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুন্নত আলী বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সারাবাংলা/টিআর