Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যুক্তরাষ্ট্রে এক ডোজের করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:১৪

নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তৃতীয় ভ্যাকসিন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পেয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন উদ্ভাবিত এক ডোজের ভ্যাকসিন। খবর বিবসি।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) পক্ষ থেকে ওই ভ্যাকসিন অনুমোদনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

এর আগে, সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন ৬৬ শতাংশ কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পাওয়া মর্ডানা এবং ফাইজারের তুলনায় জনসনের ভ্যাকসিন সাশ্রয়ী। আর সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এই ভ্যাকসিনটি রেফ্রিজারেটরের সাধারণ তাপমাত্রাই যথেষ্ট বলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

জনসন অ্যান্ড জনসন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে মার্চের মধ্যে দুই কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আর জুনের মধ্যে ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা একটি চুক্তির আওতায় তারা এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সংক্রান্ত ফলাফল জানুয়ারি মাসে প্রকাশ করে জনসন অ্যান্ড জনসন। ওষুধ উৎপাদনকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান বেলজিয়ামভিত্তিক জ্যানসেন বলেছে, তারা যেসব তথ্য-উপাত্ত পেয়েছে, সে অনুযায়ী গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রেও এই ভ্যাকসিন উচ্চমাত্রায় কার্যকর।

নিজেদের উৎপাদিত ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে এফডিএ’র কাছে তথ্য-উপাত্ত দাখিল করেছিল জ্যানসেন। পর্যালোচনা শেষে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্যসংবলিত নথি প্রকাশ করেছে এফডিএ। সেখানে বলা হয়েছে, করোনার উপসর্গযুক্ত ও গুরুতর অসুস্থতা উভয় ক্ষেত্রে জনসনের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে চালানো জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে দেখা গেছে, করোনার তীব্র সংক্রমণে এই ভ্যাকসিন উচ্চমাত্রায় একই রকম কার্যকর। তবে সার্বিক সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে এটি কম কার্যকর হয়েছে। দেশ দুটিতে ভাইরাসের নতুন ধরনগুলোকে প্রভাব বিস্তারকারীর ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে।

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধে জনসনের ভ্যাকসিন ৮৫ শতাংশের বেশি কার্যকর। তবে সার্বিকভাবে কার্যকর ৬৬ শতাংশ। এই সার্বিক অবস্থার মধ্যে মধ্যম মাত্রার অসুস্থতাও অন্তর্ভুক্ত। ভ্যাকসিন গ্রহণের ন্যূনতম ২৮ দিন পরের অবস্থাও বিবেচনায় আনা হয়েছে।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, যারা জনসনের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন, তাদের কেউ ভ্যাকসিন নেওয়ার ২৮ দিন পর মারা যাননি বা হাসপাতালে ভর্তি হননি।

সারাবাংলা/একেএম

এক ডোজের করোনা ভ্যাকসিন জনসন অ্যান্ড জনসন যুক্তরাষ্ট্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর