ছাত্রদলের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১১:৫১
ঢাকা: জাতীয় প্রেস ক্লাবে ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার পর এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যও।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছোড়ে। পাশাপাশি বিএনপি কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সকাল সাড়ে ১১টায় একটি আলোচনা সভা ছিল। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের।
এ ছাড়া ছাত্রদল আয়োজিত পূর্ব নির্ধারিত প্রতিবাদ সমাবেশ ছিল দুপুর ১২টায়। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় নেতাকর্মীদের জমায়েত ছিল।
পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের দলীয় জমায়েত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা কোনো ধরনের লিখিত কিংবা মৌখিক অনুমতি নেয়নি। তাই তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালায় পুলিশ।’
রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান জানান, পুলিশ বাধা দিতে চাইলে বিএনপির কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের অন্তত চার সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশের দাবি পরিকল্পিত হামলা: পরিকল্পিতাবে ছাত্রদল পুলিশের ওপর হামলা করেছে বলে দাবি করেন পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের যে কোনো জায়গায় অনুষ্ঠান করতে হলে ডিএমপি কমিশনারের অনুমতি নিয়ে করতে হয়। আজকে ছাত্রদল প্রোগ্রাম করার জন্য কোনো অনুমতি নেয়নি। তাদেরকে আমরা সকালে জানিয়েছি আপনারা অনুমতি নিয়ে প্রোগ্রাম করেন। সেটি না করে প্রেস ক্লাবের এক ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এসে পুলিশের ওপর হামলা করে, প্রেস ক্লাবের ভেতর থেকে ইট-পাটকেলও মারলো।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা খেয়াল করেছি, প্রেস ক্লাবের ভেতরে কোনো ইট নেই। তাহলে এত ইট এলো কোথা থেকে? তার মানে এই তারা ইট সংগ্রহ করেছে এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করেছে।’
এটির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
ছবি তুলেছেন: সারাবাংলার সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট হাবিবুর রহমান।
সারাবাংলা/এজেড/টিএস/এসএইচ/একে