Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে হাইকোর্টের রুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:৩০

ঢাকা: বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কেন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ মার্চ দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, ‘পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কেন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৩০ মার্চ দিন ঠিক করেছেন আদালত।’

সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার রিটের বিষয়ে আদেশের জন্য আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিন ঠিক করেছিলেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস এ রিট দায়ের করেন।

হাইকোর্ট এ বিষয়ে শুনানি শেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছিলেন।

রিট আবেদনে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীর চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছিল। একইসঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীত ও বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে তা প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদন করা হয়।

রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমআই

হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর