কুয়াকাটায় হোটেল থেকে অচেতন নারীসহ কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) : কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেল থেকে খুলনার বিএল কলেজের ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ওই হোটেলের কক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় এক নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মার্চ) রাত সাড়ে দশটার দিকে পুলিশ ওই হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল পায়রা’র ৩০১ নম্বর কক্ষে গত ১৮ মার্চ স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে ওই দুই পর্যটক ওঠেন। হোটেলের রেজিস্টার অনুযায়ী জাহিদুল (৩০) পিতা হাফিজুর এবং তিনা (২৫) স্বামী জাহিদুল, খুলনার সোনাডাঙ্গা বলে উল্লেখ করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার দিনভর তাদের কোনো সারা শব্দ না পাওয়ায় রাতে পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর জাহিদুলকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। এছাড়া তিনা নামের ওই নারী এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অচেতন অবস্থায় কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ওইদিন রাত ১১টার দিকে মৃত জাহিদুলের মোবাইলে খুলনা থেকে রিয়াদ নামে তার এক বন্ধু ফোন করেন। রিয়াদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত জাহিদুলের নাম বন্ধন হিসেবেই তারা চেনেন। সে খুলনার বিএল কলেজের ছাত্র। এছাড়া খুলনার ‘পথ মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চাকরি করছিলেন তিনি। তবে তার সঙ্গে থাকা মেয়েটির পরিচয় সম্পর্কে রিয়াদ কিছু বলতে পারেনি।

কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই জাহিদুল ওরফে বন্ধন মারা গেছে। এছাড়া ওই নারী অচেতন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিমাত্রায় তারা ঘুমের ঔষধ সেবন করেছে।

মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, হোটেলের ওই কক্ষ থেকে ‘ক্লোনাজিপাম’ ও ‘প্রোমিথাজিন’ নামের শতাধিক ট্যাবলেটের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

হোটেলের ডায়রীতে উল্লেখ করা নাম ঠিকানা যাচাই এবং মৃতের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অচেতন নারীকে সুস্থ করতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সারাবাংলা/টিএম