সিভিল এভিয়েশনের কর্মী পরিচয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে ধরা
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:৫৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের সিনিয়র অডিট অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন নিজেকে। কাউকে নিলামে গাড়ি কিনে দেওয়া, কারও স্বর্ণের বার নির্বিঘ্নে বিমানবন্দর পার করে দেওয়া, আবার কাউকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন।
নিলামে গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে একজনের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর ভুক্তভোগী তাকে কৌশলে ডেকে এনে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর হালিশহর থানার ওয়াপদা মোড় থেকে তাকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
গ্রেফতার জাবেদ হোসেন চৌধুরী ওরফে জাহিন চৌধুরী (৩৭) ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার চৌধুরী বাড়ির জাহিদ চৌধুরীর ছেলে। থাকেন চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া বড় মসজিদের পাশে মেট্রে আমিন ভবনের ষষ্ঠ তলায়।
পুলিশ তার বাসায় অভিযান চালিয়ে তার নামে ২টি কার্ড (প্রত্যেকটি কার্ডের গায়ে হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, কুর্মিটোলা, ঢাকা বাংলাদেশ লেখা), বিভিন্ন ব্যাংকের আটটি এটিএম কার্ড ও নগদ আট হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করে।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জাহিন চৌধুরী একজন বড়মাপের প্রতারক। বিভিন্ন জনকে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়ে পরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সে। আটকের পর ভুক্তভোগী অনেকেই থানায় এসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখছি।’
জাহিনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলার বাদি আকতার জানান, পেশায় তিনি একজন গাড়িচালক। তার বন্ধু সিএনজি অটোরিকশার চালক সোহেলের মাধ্যমে জাহিন চৌধুরীর সঙ্গে তার পরিচয়। আকতার তাকে নিয়ে কক্সবাজার যান। যাওয়া-আসার পথে আসামি তাকে জানান যে, তিনি চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টের সিভিল এভিয়েশনে সিনিয়র অডিট অফিসার হিসেবে চাকরি করেন। এরপর থেকে তাকে নিয়ে প্রায়ই ভাড়ায় যেতেন আকতার।
একদিন আসামি আকতারকে বলেন যে, তিনি এয়ারপোর্ট থেকে নিলামে গাড়ি নিয়ে দিতে পারেন। আকতার জাহিনের কথায় রাজি হয়ে একটি এলিয়ন গাড়ি নয় লাখ টাকায় কিনতে রাজি হন। গত ২১ জানুয়ারি বেলা দুইটার দিকে হালিশহর থানার পশ্চিম রামপুর নয়াবাজার মোড়ে পূবালী ব্যাংকের সামনে তার হাতে দুই লাখ টাকা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ও এনআইডির ফটোকপি দেন আকতার।
আকতার বলেন, ‘৭ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটার দিকে জাহিন আমাকে ফোন করে বলেন, গাড়ির কাগজপত্র সব ঠিক করা হয়েছে। চার লাখ টাকা দিতে হবে। আমি তার অ্যাকাউন্ট নম্বরে ওইদিনই এক লাখ টাকা পাঠাই। ১১ ফেব্রুয়ারি সরাসরি আরও তিন লাখ টাকা দিই। বাকি তিন লাখ টাকা দেওয়ার পর গাড়ি বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানায়। কিন্তু এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম