কার্টুনিস্ট কিশোরের জামিনের বিষয়ে আদেশ বুধবার
১ মার্চ ২০২১ ১৪:৪৮
ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের জামিন শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী বুধবার (৩ মার্চ) আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পি।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পি বলেন, আজ কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের জামিন শুনানি হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী বুধবার আদেশ দেবেন আদালত।
এর আগে গতকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম কিশোরের রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরের তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। একই দিন মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক ১০ মার্চ দিন ধার্য করেন।
গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় এ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার। চার্জশিটে তিন জনকে অভিযুক্ত ও আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়া, লেখক মুশতাক আহমেদ। চার্জশিটে অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক তাসনীম খলিল, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার।
এর মধ্যে লেখক মুশতাক আহমেদ ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে কারাগারে মারা যান। তার মৃত্যুর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।
কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর যে মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন সেটি দায়ের করেছিলেন র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক। গত বছরের ৫ মে কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন; যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ