গ্রাম প্রতিরক্ষা দলনেতা-নেত্রীদের চাকরি জাতীয়করণ চেয়ে নোটিশ
১ মার্চ ২০২১ ২০:৪২
ঢাকা: বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দলনেতা-দলনেত্রীদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর পূর্বক জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তকরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১ মার্চ) সিরাজগঞ্জের শেখ মোহাম্মদ শেখ ফরিদসহ দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের ২৬ জন দলনেতা ও দলনেত্রীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী মো. মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, মোহাম্মদ কাওছার এবং মো. মাজেদুল কাদের এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে গ্রাম প্রতিরক্ষা আইন ১৯৯৫-এর বিধান মতে গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের সদস্যদের জন্য প্রবিধান ও বিধিমালা প্রণয়নের অনুরোধ করা হয়েছে।
আইন সচিব, প্রতিরক্ষা বিভাগের সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি মহাপরিচালকসহ আট জনকে ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, যেহেতু ইউনিয়ন দলনেতা-দলনেত্রী পদ দুটি আইনের সৃষ্ট পদ, সেহেতু তারা সরকারের রাজস্ব খাত থেকে বেতন পাওয়ার অধিকারী এবং জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু অদ্যাবধি তাদেরকে জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত করে বেতন ভাতা প্রদান করা হয়নি। যাহা আইনের ব্যত্যয় এবং তাদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
বর্তমানে একজন ইউনিয়ন দলনেতা ও দলনেত্রী মাসিক ২ হাজার ৩০০ টাকা বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন যাহা শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত সর্বনিম্ন বেতনের চেয়ে অনেক কম। অথচ তারা ৫০টিরও বেশি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বিভিন্ন দুর্যোগময় মুহূর্তে সরকারের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, এলাকার মাদক নির্মূল, অপরাধীদের শনাক্তকরণ, বিভিন্ন জরিপ, আনসার সদস্যদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থী নির্বাচনসহ বহুসংখ্যক কাজ তারা করে থাকেন। অথচ তারা ন্যায্য বেতন এবং সম্মান পাচ্ছে না। যেটা বাংলাদেশের সংবিধানের লঙ্ঘন। ১৯৯৫ সালের আইন অনুযায়ী তাদের জন্য বিধিমালা এবং প্রবিধানমালা প্রণয়নের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে বিধিমালা ও প্রবিধানমালা প্রণীত না হওয়ায় তাদের চাকরির বিভিন্ন বিষয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। কাজেই সরকার আইনের বিধান অনুযায়ী অবশ্যই বিধিমালা এবং প্রবিধানমালা প্রণয়ন করার জন্য বাধ্য।
নোটিশে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ২৫ বছরেও কোনো ধরনের চাকরি বিধিমালা প্রণীত না হওয়ায় ইউনিয়ন দলনেতা দলনেত্রীরা এবং অন্যান্য সদস্যরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং সদা চাকরি হারানোর আতঙ্কে ভুগে থাকেন। কর্তৃপক্ষ অনেক স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তাদের নিজেদের কাজে ব্যবহার করে থাকেন যেটা অনৈতিক এবং অন্যায়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীদেরকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ইউনিয়নের দল নেতা-নেত্রীদের চাকরি রাজস্ব খাতে আনয়ন করে জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ পূর্বক তাদের চাকরি বিধিমালা প্রণয়নের অনুরোধ করা হয়েছে।
অন্যথায় আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমআই