কর্ণফুলী সংলগ্ন খালে পাথরবোঝাই নৌযান ডুবি, নিখোঁজ ২
২ মার্চ ২০২১ ১৪:৪৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে সংযুক্ত শিকলবাহা খালে পাথরবোঝাই একটি নৌযান ডুবে দুই শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ডুবে যাওয়া নৌযানের অবস্থান শনাক্ত করতে পারলেও তীব্র জোয়ারের কারণে ঠিকমতো তল্লাশি চালাতে পারছে না বলে জানিয়েছে। এর ফলে নৌযান ডুবে যাওয়ার প্রায় ৯ ঘণ্টা পরও নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধান মেলেনি।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) ভোর চারটার দিকে শিকলবাহা খালে কালারপোল সেতুর নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম।
নিখোঁজ দুই শ্রমিক হলেন- নোয়াখালীর বাসিন্দা আবুল কালাম (৫০) এবং সিলেটের রহমত আলী (২৮)। আহতদের মধ্যে নুরুল ইসলাম (৪০) নামে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আরেকজনের পরিচয় মেলেনি। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি রেজাউল করিম সারাবাংলাকে জানান, চট্টগ্রাম নগরীর মাঝিরঘাটে কর্ণফুলী নৌঘাট থেকে ৭০০ টন পাথর নিয়ে একটি বাল্কহেড (খোলা নৌযান) যাচ্ছিল আনোয়ারা উপজেলার মুরারি-শিকলবাহা খালের ওপর নির্মাণাধীন কালীগঞ্জ ব্রিজ প্রকল্পে। নৌযানটি শিকলবাহা খাল অতিক্রমের সময় এস আলম স্টিল মিলের পাশে নির্মাণাধীন কালারপোল সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এতে দু’জন শ্রমিক নৌযানের সঙ্গে তলিয়ে যান এবং দু’জন গুরুতর আহত হন। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
ঘটনাস্থলে থাকা আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম লিডার বিপ্লব কুমার নাথ সারাবাংলাকে জানান, হাজী আব্দুল হাশেমের মালিকানাধীন নৌযানটিতে মোট ২৯ জন ছিলেন। এদের মধ্যে ২৪ জন শ্রমিক ও ৫ জন কর্মচারি। দুই শ্রমিক নিখোঁজ আছেন। আহতদের মধ্যে একজন শ্রমিক এবং আরেকজন নৌযানের চালক। শ্রমিককের নাম-পরিচয় পাওয়া গেলেও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় থাকায় চালকের নাম জানা যায়নি।
বিপ্লব নাথ বলেন, ‘নৌযান ডুবে যাবার খবর পেয়ে ভোর ৪টা ২০ মিনিটের দিকে পটিয়া ও আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের দু’টি ডুবুরি ইউনিট নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ভাটার সময় প্রায় একঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে আমরা নৌযানের অবস্থান শনাক্ত করি। কিন্তু এরপর জোয়ার এসে যায়। জোয়ারের প্রচণ্ড বেগের কারণে আপাতত তল্লাশি আমাদের বন্ধ রাখতে হয়েছে। নিখোঁজ দু’জনের সন্ধান আমরা এখনও পাইনি।’
সারাবাংলা/আরডি/এএম