Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঋণ কেলেঙ্কারি মামলা: বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলীর জামিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২ মার্চ ২০২১ ১৭:০৩

ঢাকা: ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আলীর জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল গোলাম সারোয়ার। আসামিপক্ষে ছিলেন জয়নুল আবেদীন।

আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, শান্তিনগর শাখার সাবেক ব্যাবস্থাপকের বিরুদ্ধে করা ১৩টি মামলার একটিতে জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যে দুর্নীতির অভিযোগটি ২০১৩ সালে উঠেছিল। তারপরই মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের করা ১৫টি মামলার সাতটিতে এফআইআরভুক্ত আসামি শান্তিনগর শাখার ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আলী।

আদালতে এ বিষয়ে জানানোর পরে তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির ঘটনায় ৫৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংকের ৪৫শ’ কোটি টাকার মধ্যে তিন হাজার ১০০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও হাইকোর্টকে জানান দুদকের এই আইনজীবী।

দুদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন ‘বেসিক ব্যাংকের তিনটি শাখার নানা অনিয়ম’ শিরোনোমে একটি জাতীয় দৈনিকে ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে পত্রিকায় খবর প্রকাশ পায়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র দুই বছরে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের তিনটি শাখা চার হাজার ২৪৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে। এই ঋণের বড় অংশই দেওয়া হয়েছে কোনো নিয়মকানুন না মেনে। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে বেসিক ব্যাংক।

শাখাগুলোর মধ্যে গুলশান শাখার দেওয়া ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৮০০ কোটি ২৩ লাখ টাকা, শান্তিনগর শাখা ১ হাজার ৫২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং দিলকুশা শাখা দিয়েছে ৯২৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।

এই তিন শাখায় অতি দ্রুততার সঙ্গে ঋণ ছাড় করা হয়েছে। ঋণের বিপরীতে কোনো উল্লেখযোগ্য জামানতও রাখেনি কর্তৃপক্ষ। বরং তালিকার বাইরের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এসব জামানতের অভিহিত মূল্য (ফেস ভ্যালু) বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে, যাতে বেশি করে ঋণ পাওয়া যায়।

ব্যবস্থা নিতে এই তিন শাখার নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিস্তারিত প্রতিবেদন গত ২৫ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ব্যাংকটির ওপর বিস্তারিত পরিদর্শন চালায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ এবং পরে অর্থ আদায়ে উদাসীনতার কারণে ব্যাংকের প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে সরাসরি বেসিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত। আবার এসব ঋণ নিয়ে তার সদ্ব্যবহার করেনি বলেও প্রমাণ পেয়েছে পরিদর্শক দল।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ

ঋণ কেলেঙ্কারি মামলা বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলীর জামিন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৮ বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:২৬

সম্পর্কিত খবর