বিজয়পুর ও ভবানীপুর বালু মহালের দরপত্র আহ্বানে বাধা নেই
২ মার্চ ২০২১ ২০:৩৫
ঢাকা: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর ও ভবানীপুর বালু মহালের দরপত্র আহ্বানের বিষয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের জারি করা স্থিতাবস্থা স্থগিত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে জেলা প্রশাসকের (ডিসির) পক্ষে বালু মহালের দরপত্র আহ্বানে আর কোনো বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী এম. আশরাফুল ইসলাম।
একইসঙ্গে দরপত্র আহ্বানের বিষয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজি মো. আবদুর রহমানের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ নেত্রকোনার ডিসির আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম. আশরাফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজি মাইনুল ইসলাম ও মো. নাসিমুল ইসলাম।
এর আগে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বিজয়পুর ও ভবানীপুর থেকে বিরিশিরি বালুমহালের ইজারা দেওয়ার জন্যে ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) দরপত্র আহ্বান করেন (১৪২৭ খ্রিষ্ট্রাব্দেরর জন্যে)। পরে মোস্তাক আহমেদ রুহীর মালিকানাধীন নাক্স বিডি কোম্পানি সর্বোচ্চ দরদাতা (৩৩ কোটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকার) হিসেবে বিবেচিত হন। এরপর থেকে সেটি ভোগ দখল করে আসছেন তিনি।
কিন্তু আবার নতুন করে আবার কেউ (১৪২৭ খ্রিষ্ট্রাব্দেরর জন্যে) যেন ২০২১ সালে বালু মহাল নিয়ে দরপত্র আহ্বান না করতে পারে সে জন্যে এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে শ্রম আদালতে (তৃতীয় লেবার কোর্ট) মামলা করেন। মামলার শুনানি নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত সেটি ফেরত দিয়ে দেন।
আদেশে আদালত বলেছেন, সরকার এবং সরকারের অধীনস্থ কোনো অফিসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ প্রযোজ্য নয়, তাই মামলার আরজি ফেরত দেওয়া হলো।
এর পরে মোস্তাক আহমেদ রুহীর মালিকানাধীন নাক্স বিডি কোম্পানি গত ২৭ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল আবেদন করেন। ওই আবেদনে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলাটি গ্রহণ করা হবে কি না তা নিয়ে শুনানির জন্যে রাখেন এবং স্থিতাবস্থার বজায় রাখার আদেশ দেন আদালত। স্থিতাবস্থার ফলে নতুন বছরের জন্যে দরপত্র আহ্বান করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এরপর ওই স্থিতাবস্থার বিরুদ্ধে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক। সেই রিট আবেদনের ওপর গতকাল (১ মার্চ) ও আজ শুনানি শেষে আদালত শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের জারি করা স্থিতাবস্থা স্থগিত করেন। ফলে জেলা প্রশাসকের পক্ষে বালু মহালের দরপত্র আহ্বানের পথ সুগম হলো।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ