ঢাকা: ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা দূষণকারী ওয়াশিং প্ল্যান্টে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে শোকজ করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে বুড়িগঙ্গা দূষণকারী তিনটি ওয়াশিং প্ল্যান্টের মালিকের বিরুদ্ধে সাত দিনের মধ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) এ সংক্রান্ত রিটের সম্পূরক শুনানি নিয়ে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করীম।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সারাবাংলাকে বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানায় গত ১ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদফতর তিনটি মামলা করে। অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ার পরও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে আদালতের নির্দেশে বুড়িগঙ্গা দূষণকারী ৩০টি কারখানার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও পরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কোনো কোনো কারাখানা চালু করা হয়েছে। এর ফলে বুড়িগঙ্গা আগের মতোই দূষণের শিকার হচ্ছে।
আইনজীবী মনজিল আরও বলেন, সংবিধানের ১১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশনা মানতে বাধ্য। যদি তা না মানা হয়, তবে সে কর্তৃপক্ষ আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হবে। আদালতের আদেশ অমান্য করে তিতাস ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সংযোগ দিয়ে আদালত অবমাননা করেছে। ফলে সম্পূরক আবেদন করে আরজি জানালে আদালত তাদের শোকজ করেন।
বুড়িগঙ্গা দূষণ রোধে জনস্বার্থে করা এক রিট মামলার রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় গত ৩ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জের ৩০টি ওয়াশিং প্ল্যান্টসহ বুড়িগঙ্গার পানি দূষণের জন্য দায়ী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও কারখানার বিরুদ্ধে মামলা করতে পরিবেশ অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।