চট্টগ্রাম ব্যুরো: মিয়ানমারে সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত হয়ে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া আরও ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে সাত দফায় ১১ হাজার ৮৫২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেল।
বুধবার (৩ মার্চ) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ছয়টি জাহাজ চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা বোটক্লাব সংলগ্ন জেটি ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক।
এর আগে, আরও ছয় দফায় নয় হাজার ৫৯২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। সপ্তম দফায় ভাসানচরে নিতে ২ হাজার ২৬০ জনের রোহিঙ্গা দলকে মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। পরে বুধবার ভোর থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের জাহাজে ওঠানো হয়।
রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘সপ্তম দফায় দুই হাজার রোহিঙ্গাকে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যেই আমরা প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়েছি। আগামীকাল আরও প্রায় দুই হাজার যাবে।’
এর আগে, প্রথম দফায় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন, দ্বিতীয় দফায় ২৮ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন, তৃতীয় দফায় ২৯ জানুয়ারি ১ হাজার ৬৬৭ জন চতুর্থ দফায় ৩০ জানুয়ারি ১ হাজার ৪৬৭, পঞ্চম দফায় ১৫ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার ১০ জন এবং ষষ্ঠ দফায় ১৬ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ১১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থান আছে কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে। ২০১৭ সালের আগস্টে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে, যার ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তুর ঠিকানা হয় বাংলাদেশ।
লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে সামাজিক নানা সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে নেওয়ার ব্যবস্থা করে সরকার। ১৩ হাজার একর আয়তনের ভাসানচরে প্রায় ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করেছে নৌবাহিনী।