Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কারখানা বন্ধ করে ‘পলাতক’ মালিক, প্রতিবাদে রাস্তায় শ্রমিকরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ মার্চ ২০২১ ১৮:৩০

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) আকস্মিকভাবে ৪৫ দিনের জন্য একটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে পালিয়ে গেছে মালিক। সকালে কারখানায় গিয়ে শ্রমিকরা বিষয়টি জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। হাজারখানেক শ্রমিক চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ওই এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।

বুধবার (৩ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর জামালখানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ‘পদ্মা ওয়্যারস লিমিটেড’ নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সিইপিজেডের ৪ নম্বর সড়কে নিছার উদ্দিন সোহাগের মালিকানাধীন ওই কারখানায় প্রায় ১৪০০ শ্রমিক কাজ করেন।

কারখানার কাটিং সেকশনের শ্রমিক মোহাম্মদ বেলাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কারও কারও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি দুই মাসের বেতন বকেয়া আছে। অল্প কিছুসংখ্যক শ্রমিক জানুয়ারি মাসের বেতন পেয়েছেন। ১৪০০ শ্রমিক সবারই ওয়াভারটাইম ভাতা বকেয়া আছে। একমাস ধরে আমরা মালিকের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। সকালে কারখানায় গিয়ে দেখি ৪৫ দিনের জন্য লে-অফের নোটিশ ঝোলানো হয়েছে। পূর্বঘোষণা ছাড়া এভাবে তো কারখানা লে অফ করা যায় না। আমাদের বেতন-ভাতা কীভাবে পরিশোধ হবে সেটাও কর্মকর্তারা জানাতে পারছিলেন না। সে জন্য আমরা মিছিল করে প্রেসক্লাবের সামনে আসি।’

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিকরা শুয়ে-বসে, স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা সড়কজুড়ে বসে পড়লে ওই এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ২টার দিকে পুলিশ বেপজা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়ে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কারখানা হঠাৎ বন্ধ পেয়ে কিছু শ্রমিক প্রেসক্লাবের সামনে এসে বিক্ষোভ করেছেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। আমরা বলেছি যে, কারখানাটি বেপজা কর্তৃপক্ষের অধীনে। তারা বিষয়টি সমাধান করবেন। পরে তারা সড়ক থেকে সরে যান।’

সিইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মশিউদ্দিন মেজবাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা ওয়্যারসের মালিক কারখানা ৪৫ দিনের জন্য লে অফ ঘোষণা করে পালিয়ে গেছেন। আমরা অনেকভাবে চেষ্টা করেও তার হদিস পাচ্ছি না। শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন শুনেছি। কিন্তু এখানে আমাদের দুটো অপশন আছে। হয়ত মালিককে যে কোনোভাবে খুঁজে বের করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। অথবা লে অফ ঘোষিত কারখানা সরকারি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। সেটি একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। আমরা একটা উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’

সারাবাংলা/আরডি/একে

গার্মেন্টস টপ নিউজ পোশাক কারখানা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সম্পর্কিত খবর