‘পর্যাপ্ত পরিমাণে এলে তখন ভ্যাকসিন পাবেন ৪০-এর কম বয়সীরা’
৩ মার্চ ২০২১ ১৮:১৬
ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি চললেও ৪০ বছরের কম বয়সীদের এখনই এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, করোনার ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশে এলে তারপর এই জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিপ্লয়মেন্ট ও ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে এক বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চার কোটিরও বেশি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আপাতত সম্মুখযোদ্ধা ছাড়া বাকি সবার জন্য ন্যূনতম ৪০ বছর বয়স হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন হাতে চলে এলে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ৪০ বছরের বাধ্যবাধকতা কমিয়ে আনা হতে পারে।
ভ্যাকসিন প্রয়োগে বাংলাদেশের কার্যক্রম দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, গত একমাসে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি কেবল দেশেই নয়, বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে। ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশই এখনো হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু দেশের স্বাস্থ্য খাত এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে আগামীতেও ভ্যাকসিন প্রয়োগে দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী অক্ষুণ্ন থাকবে।
মন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত দেশের ৪৫ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধন করেছেন। এরই মধ্যে ৩৩ লাখের বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। দেশের এক হাজার সাতটি ভ্যাকসিন বুথে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে কোভ্যাক্সের এক কোটিরও বেশি ডোজ ভ্যাকসিন আমরা পাব। আমাদের কেনা আছে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন। জুলাই পর্যন্ত এই মোট চার কোটিরও বেশি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ভ্যাকসিন প্রয়োগের এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তী ধাপে দেশের সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট একটি অংশকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এছাড়া দেশে থাকা বিদেশি নাগরিক, বিভিন্ন বন্দরে কর্মরত ব্যক্তি ও দেশের পাঁচ তারকা হোটেলে কর্মরত ব্যক্তিদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন প্রয়োগে সমন্বয়হীনতা এড়াতে ১৫ দিন পর পর সচিবালয়ে অন্তত একটি করে ভ্যাকসিন আপডেট সভা করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী এসময় জানান, আগামীতে আরও ভ্যাকসিন কিনতে বিশ্বের বিভিন্ন দাতা সংস্থা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/টিআর