Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোকেন জব্দ: সাক্ষ্য দিলেন বন্দরের সাবেক কর্মকর্তাসহ ৩ জন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ মার্চ ২০২১ ২০:৫৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আরও তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক এক কর্মকর্তাও আছেন। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় মোট ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

বুধবার (৩ মার্চ) চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ-১ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আদালত ১৪ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের তৎকালীন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নেজাম উদ্দিনসহ তিন জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাকি দুজন হলেন- মো. মহিউদ্দিন ও মো. মাহবুবুর রহমান। তিন জনই জব্দ তালিকার সাক্ষী।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ তরল কোকেনের এই চালান আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া মাদক আইনের মামলায় ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এরপর ওই বছরের ১৯ মে থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

অভিযুক্ত ১০ জন হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডনপ্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।

বিজ্ঞাপন

এদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা সোহেল ও আতিকুর রহমান কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন মেহেদী আলম, এ কে এম আজাদ, সাইফুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল। জামিনে গিয়ে পালিয়ে গেছেন নুর মোহাম্মদ। এছাড়া মোস্তাক আহম্মদ, ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া শুরু থেকেই পলাতক আছেন।

২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম তানভির আরাফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।

চালানটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও থেকে জাহাজীকরণ করা হয়েছিল। পরে তা সিঙ্গাপুর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

কোকেন জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রামের বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। আসামি করা হয় চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদকে।

ঘটনার পাঁচ মাস পর চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ নূর মোহাম্মদকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আট জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। চালানের গন্তব্য অজানা থাকায় এবং আন্তর্জাতিক চক্র শনাক্ত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ নারাজি আবেদন করলে আদালত র‌্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। র‌্যাব নুর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত তা গ্রহণ করেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর