মশাগুলো খুব বিপজ্জনক নয়: তাজুল ইসলাম
৩ মার্চ ২০২১ ২৩:০১
ঢাকা: কিউলেক্স মশা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তবে এই মশাগুলো খুব বিপজ্জনক নয় বলেও মনে করছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এই মশাগুলো খুব বিপজ্জনক নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা সবাই মিলে এ সমস্যা থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পান্থপথ পার্কসংলগ্ন এলাকায় অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন, এসটিএস) উদ্বোধন ও ডিএসসিসির খাল উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশনের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ায় এ মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মশাগুলো খুব বিপজ্জনক নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা সবাই মিলে এ সমস্যা থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ঢাকা শহরের খাল-নালা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারলে এসব মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে অনেকাংশে মুক্তি দেওয়া সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানীর খালসমূহের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার পাশাপাশি খালের দুই পাশ অবৈধভাবে দখল করে নির্মিত সব ধরনের অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হবে।’
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াসার কাছ থেকে খাল হস্তান্তরের পর থেকেই ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুই মেয়র খালসমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, যারা এসব খাল দখল করে দুই পাশে ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন সেগুলো অপসারণ করছেন।’
তিনি জানান, নগরীর সকল খাল রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এরইমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দুই মেয়রকে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে অনেকগুলো সভা করে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এর আগে সকাল সোয়া ১০টা থেকে জিরানী খালের নন্দীপাড়া ব্রিজ অংশ, খিলগাঁও-বাসাবো, মান্ডা খাল, জিরানী খাল ও সেগুনবাগিচা খালের সংযোগস্থলের সুখনগর খাল, টিটিপাড়া পাম্প স্টেশন, শ্যামপুরের বউবাজার, সালাউদ্দিন স্কুল, জিয়া সরণি, কাজলার পাড় এলাকায় চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৪ সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুন্সি মো. আবুল হাশেম, কাজী মো. বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসএইচ/একে