বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি না করলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: তথ্যমন্ত্রী
৪ মার্চ ২০২১ ০৮:৩৭
ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি ও দলাদলি না করলে দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যেত।
বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে সংগঠনের প্রয়াত সহ-সভাপতি বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম শামসুজ্জামানের স্মরণসভায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, ৫০ বছরে আমরা শুধু দলাদলি করেছি, দেশ আগায়নি। আমি তাকে বলব, আপনি ঢাকা কলেজে পড়াতেন, আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ, যদিওবা অহরহ বিএনপির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রচণ্ড অসত্য কথা বলতে হয়, কিন্তু আপনি একজন মার্জিত মানুষও বটে। আজকে যে দেশ এতদূর এগিয়ে গেছে, ভারত-পাকিস্তানসহ সারাবিশ্ব সেটি অনুধাবন করেছে, আর আপনি সেটি অনুধাবন করতে পারলেন না।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ সার্টিফিকেট দিয়েছে যে, দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ হয়েছে। ২০০৮ সালের ৬০০ ডলার মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৯ ডলারে উন্নীত, যা ভারত এবং পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় থেকে অনেক বেশি এবং রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার যা পাকিস্তানের তিনগুণ, এই তথ্যগুলো আপনাদের কাছে নেই দেখে আমি খুব অবাক হচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি দলাদলি আর নেতিবাচক রাজনীতি না করতো, বাংলাদেশ যে আজকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে, তার চেয়েও অনেক বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারতো। জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া, স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রশ্রয় দেওয়া, তাদের সঙ্গে বসে রাজনীতি না করলে দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে দেতে পারত।
এসময় মুশতাক আহমেদের মৃত্যু নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারাগারে কোনো মৃত্যু অবশ্যই অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুটাও অনভিপ্রেত এবং আমি নিজেও ব্যথিত। কিন্তু এটি নিয়ে যেভাবে মাঠ গরম করার অপচেষ্টা হচ্ছে, সেটি আরও অনভিপ্রেত।’
মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় যেভাবে কেউ কেউ ওই আইন বাতিল করতে হবে বলছেন, তা অমূলক কারণ আইন সবার জন্য। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সমগ্র মানুষের নিরাপত্তার জন্য। সাংবাদিক, গৃহিনী, কৃষক, চাকরিজীবীসহ সকলকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। কারো চরিত্রহরণ করা হলে তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই আইন। অবশ্যই এই আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক আছি এবং অপব্যবহার হওয়া কাম্য নয়।’
প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কখনো ভাবিনি, এই বরেণ্য অভিনয়শিল্পী এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। তিনি ইতিপূর্বেও বহুবার অসুস্থ হয়েছেন, আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এবার তার মৃত্যু সংবাদ আমার কাছে বজ্রপাতের মতই মনে হয়েছিল।
এসময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথির বক্ত্যবে প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং স্মরণসভার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামীলীগ নেতা এম. এ করিম, অভিনেত্রী তারিন, শাহনুর, কন্ঠশিল্পী এসডি রুবেল, অভিনেতা শাকিল খান, এটিএম শামসুজ্জামানের কন্যা কোয়েল আহমেদসহ অন্যান্য অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ