Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুশতাক হত্যাকাণ্ড রাষ্ট্রীয়ভাবে হয়েছে: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ মার্চ ২০২১ ১৫:৪১

ঢাকা: লেখক মুশতাক আহমেদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘হত্যা’ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই অভিযোগ করেন। কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও নোয়াখালীর বশিরহাটে ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কির হত্যার বিচারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘লেখক মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গ্রেফতার করে অন্যায়ভাবে তাকে কারাগারে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছিলাম, রাষ্ট্রীয়ভাবে হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি।’

তিনি বলেন, ‘শুধু একটি নয়, এই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে প্রায় ৭০০ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিপূর্বেও শুধু মাত্র সরকারের সমালোচনা বা কার্টুন বা লেখার কারণে অসংখ্য লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা।’

ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার সম্পূর্ণ একটা অবৈধ সরকার, অনির্বাচিত সরকার। তাদেরকে জোর করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে এবং টিকে থাকার জন্য এই ধরনের গণবিরোধী আইন তৈরি করেছে এবং সেই আইনের মাধ্যমে তারা জনগণের কথা বলার অধিকার, বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।’

‘আমরা পরিস্কার করে বলে দিতে চাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রেখেছেন তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যাদেরকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছেন সেই সাজা প্রত্যাহার করুন, মামলা প্রত্যাহার করুন, ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা গায়েবি মামলা আছে, তা প্রত্যাহার করুন’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারকে সরাতে হবে। তারা নির্বাচিত সরকার নয়, তাদের কোনো বৈধ্যতা নেই। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে তাদের পতন হবে। এ জন্য আমাদের দাঁড়াতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। আসুন এই লক্ষ্যে আমরা সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হই।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে রাস্তায় রাস্তায় আমাদের নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়া হয়েছে। আমার চোখের সামনে আমি দেখেছি কীভাবে নেতা-কর্মীদের পুলিশ বাঁধা দিচ্ছে। আমি পুলিশের কাছে গেলাম পরিচয় দিলাম। আমরা দুঃখ লাগে দেশ থেকে আদব-কায়দা সব উঠে গেছে নাকি। এই সরকার কাউকে সম্মান দিতে জানে না, এই সরকার কোনো সম্মান পেতে পারে না। এই সরকার ভোটের সরকার নয়, এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। সুতরাং এই সরকারকে আমরাও মানি না।’

যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, সহসভাপতি আবদুল খালেক হাওলাদার, মোনা্যমে মুন্না, কেন্দ্রীয় নেতা এসএম জাহাঙ্গীর, রফিকুল আলম মজনু, নুরুল ইসলাম নয়ন, গোলাম মাওলা শাহিনসহ অন্যরা।

সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্যাপক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিশের সাঁজোয়া যান, রায়ট কার, জলকামানের গাড়িও ছিলো প্রেসক্লাবের পূর্বদিকের সড়কে। সমাবেশ শেষ হলে দ্রুত নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থল ত্যাগ করেন। বিএনপির আমান উল্লাহ আমান ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থেকে নেতাকর্মীদের চলে যেতে বলেন।

সারাবাংলা/এজেড/এমও

টপ নিউজ মির্জা ফখরুল মুশতাক হত্যাকাণ্ড


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর