রাজপ্রাসাদের ‘চিরন্তন ছলনা’কে দুষলেন মেগান
৪ মার্চ ২০২১ ১৯:২৩
ব্রিটিশ রাজপরিবারের ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল অভিযোগ করেছেন, তার এবং প্রিন্স হ্যারির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার ক্ষেত্রে রাজপ্রাসাদ সেই ‘চিরন্তন ছলনা’র আশ্রয় নিয়েছে। খবর বিবিসি।
সম্পতি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে কেনসিংটন প্যালেসে থাকার সময় কয়েকজন রাজ কর্মচারীর সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণ করেছিলেন। টাইমসের প্রতিবেদনে ওই রাজ কর্মচারীর পাঠানো ই-মেইল উদ্ধৃত করা হয়। পরে এক বিবৃতিতে রাজপ্রাসাদ জানায়, এ অভিযোগ খতিয়ে দেখবে তারা।
এমন অবস্থায় জনপ্রিয় উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রে মেগান ও হ্যারির একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, সাক্ষাৎকারটি রোববার (৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস চ্যানেল এবং যুক্তরাজ্যের ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে সোমবার (৮ মার্চ) প্রচার হবার কথা।
এদিকে, মিথ্যা রটনাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে রাজপরিবার এমন অবস্থায় নীরব থাকতে পারেন না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেগান আরও বলেছেন আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে কিছু হারানোর ভয় করেন না তারা। তাদের হারাবার আর কিছু বাকি নেই বলে উল্লেখ করেছেন মেগান মার্কেল।
হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগানের সঙ্গে ব্রিটেনের রাজপরিবারের ‘তিক্ত’ সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর গত বছরই রাজকীয় দায়িত্ব এবং কর্তব্য থেকে সরে দাঁড়ান তারা। কারণ হিসেবে দাবি করেছিলেন, রাজকীয়তার বাইরে বেরিয়ে তাঁরা সাধারণ জীবন কাটাতে চান। শুধু তাই নয়, তাঁদের জীবন নিয়ে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের অভিযোগও তুলেছিলেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে। এ দম্পতি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করেন।
সাক্ষাৎকারটির ৩০ সেকেন্ডের একটি টিজার ক্লিপ প্রকাশ করেছে সিবিএস নিউজ। সেখানে দেখা গেছে উইনফ্রে ডাচেসের কাছে জানতে চাইছেন, সত্য প্রকাশ করলে রাজপ্রাসাদের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে বলে আপনি মনে করেন?
জবাবে মেগান বলেন, আমি জানি না তারা কিভাবে প্রত্যাশা করে যে আমরা চুপ থাকব। যখন কিনা মিথ্যা রটনাকে চিরন্তন ছলনা’য় রূপ দিতে রাজপরিবারই সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
এর আগে হ্যারির সাক্ষাৎকারের কিছু অংশও প্রকাশ করেছিল সিবিএস।
সেখানে হ্যারি বলেন, মায়ের মতো একই পরিণতির আতঙ্ক তাকে তাড়া করে বেড়াত। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় বিভীষিকা। তাই কঠিন হলেও রাজপরিবারের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে তারা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন।
সারাবাংলা/একেএম