২২ দিনে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩৫ লাখ ৮১ হাজার ১৬৯ জন
৪ মার্চ ২০২১ ২০:০২
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশে জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ২২তম দিনে এক লাখ ২১ হাজার ১০ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৪ হাজার ৮০৯ জন। এখন পর্যন্ত দেশে সর্বমোট ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩৫ লাখ ৮১ হাজার ১৬৯ জন। ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরবর্তী সম ৮০৭ জনের মাঝে হালকা জ্বর, গায়ে ব্যথা এমন লক্ষণ দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত সবাই সুস্থ আছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডা. মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘যে কোনো ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে মানুষের ভ্যাকসিন নেওয়ার স্থান লাল হতে পারে, সামান্য জ্বর আসতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার স্থানসহ শরীরে ব্যথা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কারও মাঝেই এর চেয়ে গুরুতর কিছু দেখা যায়নি।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ হাজার ৬৭৭ জন পুরুষ ও ৯ হাজার ১৩২ জন নারী। রাজধানীতে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৬ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর মধ্যে তিন লাখ ৫৪ হাজার ৭৩১ জন পুরুষ ও এক লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৫ জন নারী।
মহানগরী বাদে ঢাকা জেলায় এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছে ৭১ হাজার ১৮৯ জন। এর মধ্যে ৪৭ হাজার ৭৩৬ জন পুরুষ ও ২৩ হাজার ৪৫৩ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় ভ্যাকসিন নিয়েছেন দুই হাজার ৪৫৯ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৫৩৩ জন পুরুষ ও ৯২৬ জন নারী ভ্যাকসিন পেয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৪২ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে ২৬ হাজার ২৮৫ জন পুরুষ ও ১৬ হাজার ৩৫৯ জন নারী। এই বিভাগে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ১২ হাজার ৩৫ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পরে এই বিভাগে ২৭৩ জনের মাঝে ভ্যাকসিন নেওয়া পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে সবাই সুস্থ আছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ বিভাগে চার হাজার ৫৯৯ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এই বিভাগে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৫১ হাজার ৫৮৪ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। যার মধ্যে পুরুষ ৯৪ হাজার ৮৮৭ জন ও নারী ৫৬ হাজার ৬৯৭ জন। এই বিভাগে ৫০ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও সবাই এখন সুস্থ আছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন সাত লাখ ৬৯ হাজার ১৫৩ জন। এর মধ্যে চার লাখ ৯৭ হাজার ২৬০ জন পুরুষ ও দুই লাখ ৭১ হাজার ৮৯৩ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২০ হাজার ৪০৪ জন। এখন পর্যন্ত এই বিভাগে ১৬৯ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও সবাই এখন সুস্থ আছেন।
রাজশাহী বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১১ হাজার ৬৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৯০৫ জন ও নারী চার হাজার ৭৭০ জন। এই বিভাগে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিন লাখ ৮৯ হাজার ৩১৬ জন। এর মধ্যে দুই লাখ ৪৭ হাজার ১৩৯ জন পুরুষ ও এক লাখ ৪২ হাজার ১৭৭ জন নারী। এই বিভাগে এখন পর্যন্ত ৮৫ জনের শরীরে দেখা দিয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তবে সবাই এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১২ হাজার ৫৯১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ সাত হাজার ৫১৩ জন ও নারী পাঁচ হাজার ৭৮ জন। এই বিভাগে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিন লাখ ২৭ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে দুই লাখ আট হাজার ৭৪৮ জন পুরুষ ও এক লাখ ১৮ হাজার ৫৭৮ জন নারী। এই বিভাগে এখন পর্যন্ত ৬৬ জনের শরীরে দেখা দিয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তবে সবাই সুস্থ আছে এখন পর্যন্ত।
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৯১২ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৩৭৩ জন পুরুষ, নারী আট হাজার ৫৩৯ জন। এই বিভাগে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন চার লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৪৫ জন পুরুষ ও এক লাখ ৭১ হাজার ৩৫২ জন নারী। এই বিভাগে এখন পর্যন্ত ১০৪ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে সবাই এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন।
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৪১৮ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৭০৪ জন, নারী এক হাজার ৭১৪। এই বিভাগে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন এক লাখ ৬৫ হাজার ১৮৯ জন। এর মধ্যে এক লাখ সাত হাজার ৮৭৬ জন পুরুষ ও ৫৭ হাজার ৩১৩ জন নারী। এই বিভাগে এ পর্যন্ত ২৫ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে সবাই সুস্থ আছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে চার হাজার ৭৬৭ জনকে। এর মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৭৫৭, নারী দুই হাজার ১০ জন। এই বিভাগে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৬৯ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন পুরুষ ও ৭৮ হাজার ২৭১ জন নারী। এই বিভাগে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে সবাই সুস্থ আছেন।
উল্লেখ্য, জনসাধারণ পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রথম দিন ৩১ হাজার ১৬০ জন ও দ্বিতীয় দিন ৪৬ হাজার ৫০৯ জন ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। তৃতীয় দিনে ভ্যাকসিন নিয়েছেন এক লাখ এক হাজার ৮২ জন। চতুর্থ দিনে দেশে এক লাখ ৫৮ হাজার ৪৫১ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিনে ভ্যাকসিন নেয় যথাক্রমে দুই লাখ চার হাজার ৫৪০ জন ও এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৭১ জন।
সপ্তম দিনে ভ্যাকসিন নেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৩ জন। অষ্টম দিনে ভ্যাকসিন নেন দুই লাখ ২৬ হাজার ৬৭৮ জন। নবম দিনে ভ্যাকসিন নেন দুই লাখ ২৬ হাজার ৯০২ জন। দশম দিনে ভ্যাকসিন নেন দুই লাখ ২৬ হাজার ৭৫৫ জন।
একাদশ দিনে ভ্যাকসিন নেন দুই লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ জন ও দ্বাদশ দিনে ভ্যাকসিন নেন দুই লাখ ৩৪ হাজার ৫৬৪ জন। ত্রয়োদশ দিনে দুই লাখ ২৫ হাজার ২৮০ জন ও চতুর্দশ দিনে এক লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ১৫ তম দিনে ভ্যাকসিন নেন এক লাখ ৮১ হাজার ৯৮৫ জন। ১৬ তম দিনে ভ্যাকসিন নিয়েছে এক লাখ ৮১ হাজার ৪৩৯ জন। ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরুর ১৭তম দিনে নিয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৩ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ১৮ তম দিনে ভ্যাকসিন নিয়েছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৭৫২ জন। ১৯ তম দিনে এক লাখ ১৬ হাজার ৩০০ ও ২০ তম ভ্যাকসিন নিয়েছেন এক লাখ ১৪ হাজার ৬৮০ জন। ২১ তম দিনে ভ্যাকসিন নিয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজার ৬৫৪ ও ২২তম দিনে নিয়েছেন এক লাখ ২১ হাজার ১০ জন।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে শুক্রবার ও ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উপলক্ষে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথম দিন ২১ জনের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও দ্বিতীয় দিন দেখা দেয় ৭১ জনের মধ্যে। তৃতীয় দিন ৯৪ জন এবং চতুর্থ দিন দেখা দিয়েছে ৭০ জনের শরীরে। পঞ্চম দিনে দেশে ৭৬ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
ষষ্ঠ দিনে ৩১ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সপ্তম দিনে ১৮ ও অষ্টম দিনে ২১ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অষ্টম দিনে ২৯ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নবম দিনে ৩৫ ও দশম দিনে ২০ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
একাদশ দিনে ২৭ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ দিনে যথাক্রমে ৪১ ও ৩১ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। চতুর্দশ দিনে ২১ ও ১৫ তম দিনে ৩৯ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ১৬ তম দিনে ২৭ জনের ও ১৭ তম দিনে ১৫ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বলা জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়াও ১৮ তম দিনে ২২ জন ও ১৯ তম দিনে ২১ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ২০ তম দিনে ১৯ জন ও ২১ তম দিনে ১১ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। ২২ তম দিনে ২৩ জনের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে সবাই এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন।
সারাবাংলা/এসবি