Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চীনের লক্ষ্য ৬ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৫ মার্চ ২০২১ ১৩:৪৭

শুক্রবার (৫ মার্চ) চীনে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল পিপলস’ কংগ্রেস (এনপিসি)। সেখানেই চলতি বছরে ছয় শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। খবর ডয়চে ভেলে।

এর আগে, ২০২০ সালে জিডিপির কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করেনি চীন। করোনার কারণে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হয়েছিল চীনসহ গোটা পৃথিবীতেই। তখন চীন জানিয়েছিল, অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করাই তাদের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য। চীন একমাত্র দেশ, ২০২০ সালে যারা অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির মুখ দেখেছে।

পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে অর্থনীতির শুধু পতন হয়নি, জিডিপি শূন্যের নীচে নেমে গেছে। সেই অবস্থায় চীন জানিয়েছিল দুই দশমিক তিন শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছে তাদের। এবার চীন জানিয়ে দিল, তাদের অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল। ২০২১ সালের জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে অন্তত ছয় শতাংশ।

চীনে শুক্রবার শুরু হওয়া এনপিসি থেকেই দেশটির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এই অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। আগামী ১৪ দিন পর্যন্ত এই সম্মেলন চলার কথা। সম্মেলন শুরুর আগে জানা গেছিল, কারখানাগুলোকে আরো পরিবেশবান্ধব কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা হবে।

তবে এদিন সম্মেলন শুরু হওয়ার পরেই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং প্রথমে অর্থনীতি নিয়ে বলতে শুরু করেন। জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা জানানোর পাশাপাশি তিনি ২০২০ সালের হিসাব তুলে ধরেন। এ বছরের মূদ্রাস্ফীতির পরিমাণও বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দেশের শহরাঞ্চলে ১১ মিলিয়ন মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। সামরিক খাতে বাজেট সামান্য বাড়িয়ে ছয় দশমিক আট শতাংশ করা হয়েছে।

পৃথিবী যখন করোনার কারণে অর্থনীতি নিয়ে বেসামাল, চীন তখন অর্থনীতি অনেকটাই গুছিয়ে নিতে পেরেছে। তবে বাণিজ্য ঘাটতির কারণে তাদের অর্থনীতি পুরোপুরি চাঙ্গা হতে পারেনি। পৃথিবীর বহু দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য কমেছে চীনের। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।

পাশাপাশি, তাইওয়ান-হংকং নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন। দুই অঞ্চলেই ব্যাপক আন্দোলন চলছে। চীনের প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়েও দীর্ঘ বক্তৃতা করেছেন। জানিয়েছেন, কমিউনিস্ট সরকার ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাস করে। তাইওয়ান এবং সংলগ্ন সমুদ্রাঞ্চল যেনো নিরাপদ থাকে, চীন তা নিশ্চিত করবে। তাইওয়ানের উন্নতির জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনো ভাবেই রাষ্ট্রদ্রোহ বরদাস্ত করা হবে না।

হংকং নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২০ সালে এই সম্মেলনের পরেই হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন বলবৎ হয়েছিল। তারপর থেকে হংকংয়ের বহু গণতন্ত্রপন্থি নেতা এবং ছাত্র নেতাকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সারাবাংলা/একেএম

চীন ছয় শতাংশ বৃদ্ধি জিডিপি ন্যাশনাল পিপলস' কংগ্রেস (এনপিসি)


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘আমাদের সেনাবাহিনী যেন তৈরি থাকে’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯

আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৭

সম্পর্কিত খবর