স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উদ্বোধন করা হবে ‘মৈত্রী সেতু’
৫ মার্চ ২০২১ ১৬:১৫
খাগড়াছড়ি: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহোৎসবে অংশ নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ফেনী নদীর ওপরে নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী-১ সেতুটির যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৫ মার্চ) রামগড়ের ‘মহামুনি মৈত্রী সেতু-১’ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সেতুটি উদ্বোধন হলেও সেতুর কার্যক্রমে আরও আনুষ্ঠানিকতা রয়ে গেছে। সেতুটির ফলে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে অনেক অগ্রগতি সৃষ্টি হবে।’
তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আগামী ১৬ মার্চ ভারতের পানিসম্পদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে এরপরেই দুই দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রীদের বৈঠক হবে। আমরা আশাবাদী বৈঠকগুলি হলেই তিস্তাসহ ৬টি নদীর ব্যাপারে একটা অগ্রগতি হবে।’
পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের গোয়েন্দা পরিদফরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আতিকুর রহমান, চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোয়াজ্জেম হোসেন, রামগড় জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ারুল মাযহারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তানিশ চন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে ৮২.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড়ের মহামুনিতে ২৮৬ একর জমির ওপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের ‘মৈত্রী সেতু’ নির্মিত হয়েছে।
সারাবাংলা/এমও