রকিবুলকে মারতে যাওয়ায় সুজনকে ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশ
৭ মার্চ ২০২১ ২২:২৪
ঢাকা: বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানকে মারতে যাওয়ায় খালেদ মাহমুদ সুজনকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।
রোববার (৭ মার্চ) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সংক্ষুব্ধ হয়ে জনস্বার্থে এই নোটিশ পাঠান আইনজীবী মো. আবু তালেব। নোটিশে সুজনকে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
নোটিশ পাঠানোর পরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু রকিবুল একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক অধিনায়ক হিসেবে তাকে অপমান করার বিষয়, তাই নোটিশে খালেদ মাহমুদ সুজনকে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।’
ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে নোটিশকারী আইনজীবী বলেন, “গত ২০ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বন্ধুত্ব আর ভ্রাতৃত্বের স্মারক ‘লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’ চলাকালে অপ্রীতিকর এ ঘটনা ঘটে। সেদিন খেলা চলাকালে আচমকা খালেদ মাহমুদ সুজন তার অগ্রজ বীর মুক্তিযোদ্ধা রকিবুল হাসানের দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় সে এতই উত্তেজিত ছিল যে চেষ্টা করেও তাকে থামানো যায়নি। পরে সুজন মাঠের পাশে থাকা স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের ছাউনি পর্যন্ত উপড়ে ফেলেন। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুধু খেলার মাঠে সীমাবদ্ধ থাকেনি। লাইভ ক্যামেরা থাকায় ছবি ও অডিও বিভিন্ন টেলিভিশন, ইউটিউব, ফেসবুকসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকায় ছড়িয়ে পড়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আঘাত করার ফলে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশকে আঘাত করার শামিল।’
তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে জনস্বার্থে তিনি নোটিশ পাঠান উল্লেখ করে এ আইনজীবী বলেন, ‘দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি এ নোটিশ পাঠিয়েছি।’
নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি রাকিবুল হাসান জানেন বলেও দাবি করেন এই আইনজীবী।
আইনজীবী মো. আবু তালেব আরও বলেন, ‘খালেদ মাহমুদ সুজন প্রকাশ্যে এভাবে একজন সাবেক জাতীয় দলের অধিনায়কের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এমন আচরণ করতে পারেন না। কেননা ক্রিকেট আমাদের একটা আবেগের জায়গা। রকিবুল হাসান যদি অপরাধ করেও থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট জায়গায় অভিযোগ দিতে পারতেন। কিন্তু এভাবে প্রকাশ্যে একজনের ওপর চড়াও হওয়ার সুযোগ নাই। এ কারণে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও